Lake Baikal: বৈকাল হ্রদ, বিশ্বের গভীরতম হ্রদ: আজকের প্রতিবেদনে সকলকে স্বাগত জানাই। আজকের প্রতিবেদনে আমরা বৈকাল হ্রদ নিয়ে আলোচনা করব। আসলে কোন কিছু বিষয় সম্পর্কে যদি তথ্যমূলক কিছুটা আলোচনা করা হয় তাহলে তা সহজেই মনে থাকে। এই বৈকাল হ্রদ থেকে বিগত অনেক চাকরি পরীক্ষাতে প্রশ্ন এসেছে। তাই আজ বৈকাল হদ নিয়ে কিছুটা তথ্যমূলক আলোচনা করলাম।
এই বিপুল পৃথিবীর কতটাই বা আমরা জানি। এই রহস্যময় বিশ্বের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে নানা বিস্ময়। তেমন একটি বিস্ময় হল বৈকাল হ্রদ। ইউনেস্কো ১৯৯৬ সালে বিশ্বের অনন্য প্রাকৃতিক ঐতিহ্যর তালিকায় তালিকা তালিকাভূত করেছে। এই হ্রদে বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ মিষ্টি জল রয়েছে। মেসোজোয়িক যুগের সৃষ্ট এই হ্রদটির সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৬৩৬ কিমি সর্বাধিক প্রস্থ ৭৯ কিমি এবং আয়তন ৩১৭২২ বর্গ কিলোমিটার। এখানে ৩৩০ টেরও বেশি নদী পতিত হয়েছে। এটি গড়ে ১.৭ কিলোমিটার গভীর।
Lake Baikal: মেসোজোয়িক যুগের সৃষ্ট হ্রদ
রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ হল বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। আবার বৈকালই হল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও স্বচ্ছতম হ্রদ। স্বাদুজলের হ্রদের মধ্যে বৈকাল সবচেয়ে বড়ও। তাই ভূগোল বই থেকে জেনারেল নলেজ বই সর্বত্র বৈকাল হ্রদের কথা খুব সহজেই জানা যায়।
কিন্তু এই বৈকাল হ্রদ সম্পর্কে যেটা জানা বড় একটা যায় না তা হল এই হ্রদ যখন শীতের সময় জমে যায়। তখন বৈকালের উপরিভাগ জুড়ে বহু বহু দূর পর্যন্ত কেবল সাদা স্তরই দেখা যায়না।
আরো পড়ুন : Story of Oppenheimer: পারমাণবিক বোমা তৈরিতে রবার্ট ওপেনহাইমার
রত্নের ভান্ডার
এই সাদা বরফের খাঁজে খাঁজে চাঁই চাঁই ফিরোজা রংয়ের রত্নের শোভা চোখ ঝলসে দেয়। তবে সেগুলি আদতে রত্ন নয়। বরফ জলে এমন এক রং জমাট বেঁধে এই আজব প্রকৃতির খেলাকে তুলে ধরে সকলের সামনে। শীতে এখানে তাল তাল রত্ন শোভা উঁকি দেয় বরফের খাঁজে।
শুধুমাত্র শীতকাল নামার অপেক্ষা। ঠান্ডায় বদলে যায় এখানকার রূপ। বরফের খাঁজে খাঁজে প্রকৃতির আপন খেয়ালে উঁকি দিতে থাকে রত্নের ভান্ডার।
পান্না নামে বহুমূল্য রত্নটি সাধারণভাবে সবুজ হয়। তবে সে সবুজের আবার নানা ধরন হয়। যার একটি হল ফিরোজা সবুজ। ফিরোজা একটি বিশেষ ধরনের সবুজে রং। যাকে ইংরাজিতে টার্কয়েজ বলা হয়। এ রং আমার আপনার সকলেরই পরিচিত।
এখানে সেই রংয়ের রত্ন শোভা ঝলসে ওঠে দিগন্ত বিস্তৃত বরফের খাঁজে খাঁজে। তবে তা হয় একমাত্র শীতকালেই। শীতে যখন শূন্যেরও অনেক নিচে নেমে যায় পারদ, তখন এই বিখ্যাত হ্রদের উপরিভাগ পুরু বরফে ঢেকে যায়।
সেই বরফের খাঁজে খাঁজে চোখ ঝলসানো রূপ নিয়ে কীভাবে যেন জন্ম নেয় এই ফিরোজা রংয়ের রত্নের শোভা। যা দেখার জন্য বহু পর্যটক ঠান্ডা উপেক্ষা করেও এখানে হাজির হন। দুচোখ ভরে উপভোগ করেন প্রকৃতির এই অপূর্ব সৌন্দর্য্য।
FAQs:
বৈকাল হদটির দৈর্ঘ্য কত?
মেসোজোয়িক যুগের সৃষ্ট এই হ্রদটির সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৬৩৬ কিলোমিটার।
বৈকাল হ্রদ এর প্রস্থ কত?
রাশিয়ার বৈকাল হ্রদের সর্বাধিক প্রস্থ ৭৯ কিলোমিটার।
বৈকাল হ্রদের আয়তন কত?
রাশিয়ার বৈকাল আমাদের আয়তন 31722 বর্গ কিলোমিটার।
বৈকাল হ্রদে এসে পড়েছে কতগুলি নদী?
বৈকাল হ্রদে ৩৩০টিরও বেশি নদী পতিত হয়েছে।
বৈকাল হ্রদের গভীরতা কত?
রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ গড়ে ১.৭ কিলোমিটার গভীর।