Report card for students: আজকের প্রতিবেদনে সকলকে স্বাগত। পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতে একটি প্রতিবেদন চোখে পড়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ সংক্রান্ত এই প্রতিবেদন। যেখানে বলা হয়েছে পড়ুয়ার ব্যক্তিত্ব ও জীবনদক্ষতার বিকাশের উপরও নজর রাখবে এই রিপোর্ট কার্ড।
এক নজরেঃ
এই রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে কি বলা হয়েছে শিক্ষা দপ্তর থেকে (Report card for students)
আর শ্রেণিভিত্তিক নয়। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক অগ্রগতির রূপরেখা ফুটে উঠবে একটিই রিপোর্ট কার্ডে। পুস্তিকা আকারে সেই রিপোর্ট কার্ড ইতিমধ্যেই স্কুলে স্কুলে পৌঁছনো শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সার্বিক অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ডে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত, প্রতি বছরের তিনটি পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ও জ্ঞানগঠনকালীন মূল্যায়নে ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলের উল্লেখ থাকবে। একইসঙ্গে পড়ুয়ার ব্যক্তিত্ব ও জীবনদক্ষতার বিকাশের উপরও নজর রাখা হবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। থাকছে স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, পড়ুয়ার নাম, শ্রেণি, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ, আধার নম্বর-সহ আরও অনেক তথ্য থাকছে।
কোন কোন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এই রিপোর্ট কার্ডে
স্কুলগুলিতে এই রিপোর্ট কার্ডের পুস্তিকা পৌঁছনোর সঙ্গেই উঠছে কয়েকটি প্রশ্ন। মূলত প্রতিটি শ্রেণির তিনটি পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রতিটি ভাগের উল্লিখিত পূর্ণমান ভাবাচ্ছে শিক্ষকদের। কারণ, বর্তমান ব্যবস্থার সঙ্গে রিপোর্ট কার্ডের পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বর বিভাজনে রয়েছে পার্থক্য। এ বিষয়ে বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বদল আনা হয়েছে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বর বিভাজনে। আগের ব্যবস্থায় যত নম্বরের পরীক্ষা হত, তাতে সব ধরনের প্রশ্ন করা যেত না। তাই নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেছে জানা গিয়েছে। যাতে প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জায়গা পায় এবং ছাত্রছাত্রীদের লেখার দক্ষতার মাধ্যমে তাদের বিকাশের চিত্রটা ফুটে ওঠে। নম্বর বৃদ্ধিতে ছাত্রছাত্রীদের কোথায় কোথায় অসুবিধা রয়েছে, তা-ও স্পষ্টভাবে উঠে আসবে শিক্ষকদের কাছে।
মূল্যায়নের কোন কোন বিষয়গুলির বদল হচ্ছে (Report Card for Students)
বদল আনা হয়েছে জ্ঞানগঠনকালীন মূল্যায়নেও। আগে যেখানে তিনটি পর্যায়ে একটি করে জ্ঞানগঠনকালীন মূল্যায়ন হত, তা প্রতি পর্যায়ে তিনটি করে হবে। প্রতি মাসে অন্তত একবার পড়য়াদের জ্ঞানগঠনকালীন মূল্যায়ন হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই আনা হয়েছে এই বদল। সার্বিক অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে দৈহিক, মানসিক, বৌদ্ধিক-তিনটি স্তরের বিকাশকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
Bengal in School Education: স্কুলশিক্ষায় বঙ্গ এখন সিকিমেরও পিছনে! – এইখানে ক্লিক করুন
তাই প্রতি বছর অন্তত একবার নির্দিষ্ট কয়েকটি মাপকাঠিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। কথোপকথন, বন্ধুত্ব স্থাপন, নেতৃত্বদান, সমানুভূতি, দ্বন্দ্ব নিরসন/সমস্যা সমাধান-সহ আরও বহু ক্ষেত্রে পড়ুয়ার দক্ষতা যাচাই করা হবে, গ্রেড দেওয়া হবে পড়ুয়াকে। লিখনে খামতি রয়েছে কিনা, রিপোর্ট কার্ডে সেই সম্পর্কে মতামত লিখতে পারবেন শিক্ষকরা। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই রিপোর্ট কার্ডটি কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয় গুলি কখন এই রিপোর্ট কার্ড হাতে পাবে?
এই বছরেই এই রিপোর্ট কার্ড নির্ধারিত সব শ্রেণির পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে তা শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণির জন্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ধরনের সামগ্রিক অগ্রগতির রিপোর্ট কার্ড দেশের মধ্যে এ রাজ্যই প্রথম তৈরি করল বলে দাবি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের।