4th class Question Paper Social Science: আজকের প্রতিবেদনে সকলকে স্বাগত জানাই। আজকে আমরা চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার ২০১৮ সালের প্রশ্ন পত্রের (পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ পরিচালিত) উত্তরগুলি নিয়ে আলোচনা করব।এছাড়াও বিগত বৃত্তি পরীক্ষাগুলিতে সমাজবিজ্ঞান থেকে যে প্রশ্নপত্র গুলি এসেছে সেগুলিও পিডিএফ আকারে আপনাদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। নিচে ‘4th class Question Paper Social Science PDF Download‘ বটনে ক্লিক করে খুব সহজেই আপনারা সেগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক।
চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্ন PDF Download
4th class Question Paper Social Science PDF Download
চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর সমাজবিজ্ঞান ২০১৮
১। শূন্যস্থান পূরণ করো (যে কোন দশটি) :
(ক) মানুষের প্রথম কাজের ধাতু হল________
উঃ- তামা
(খ) __________ছাড়া তো গাড়ি চলবেই না।
উঃ- চাকা
(গ) মানুষ যখন জঙ্গলে বাস করত তখন__________হিসাবে গাছের ডাল লাঠি ব্যবহার করত।
উঃ- অস্ত্র
(ঘ) পশ্চিমবঙ্গে টয় ট্রেন আছে____________
উঃ- দার্জিলিং-এ
(ঙ) ছৌ নাচে__________পরতেই হয়।
উঃ- মুখোশ
(ঢ) মানুষ প্রথম পোষ মানিয়েছিল____________প্রাণীকে।
উঃ-কুকুর
(ছ) মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য ____________প্রাণী
উঃ-তৃণভোজী
(জ) ঋতুতে দিন ছোট, রাত বড়।
উঃ- শীত ঋতু
(ঝ)________________সমাজে আজও মা পরিবারের প্রধান।
উঃ-খাসিয়া
(ঞ)- একই পরিবারের শাখা-প্রশাখাকে একসঙ্গে____________বলে।
উঃ- আত্মীয়
(G) ______________মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
উঃ- লোহা
(ঠ) দুপুর বারোটায় ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে______________হয়।
উঃ-ছোটো
২। এক কথায় উত্তর দাও (যে কোনো দশটি) :
ক) শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় কেন?’
উঃ- শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে । তাই জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
খ) ঋতু কাকে বলে?
উঃ- আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে এক বছর সময়কে কয়েকটি নির্দিষ্ট খন্ডে বিভক্ত করা হয়। এই খন্ড বা ভাগগুলিকে এক একটি ঋতু বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি ঋতু আছে।
গ) ব্রোঞ্জ কী?
উঃ- তামা ও টিন মেশানো এক ধরনের ধাতু।
তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর জন্য গাণিতিক কুইজ | Mathematical quiz for 3 and 4th level students
ঘ) ইস্পাত কী কী কাজে লাগে?
উঃ- যন্ত্রপাতি, গাড়ি ,ব্রিজ তৈরি করতে ইস্পাত লাগে।
ট) ট্রাক্টরে চাষ করার সুবিধা কী?
উঃ- ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করলে অল্প সময়ে অনেক জমি চাষ করা যাবে। এবং খরচ কম হবে।
ঠ) চাষের জমিতে সার দেওয়া প্রয়োজন কেন?
উঃ- চাষের জমিতে সার দিলে জমি উর্বর হয় । ফলে ফসল ভালো পাওয়া যায়।
৩। যে কোনও দশটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
(ক) জঙ্গলে যারা থাকেন তাদের জীবিকা কী কী?
উঃ- যারা জঙ্গলে থাকেন তাদের জীবিকা গুলি হল, বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করা । মৌমাছি চাক থেকে মধু সংগ্রহ করা । ভেরি বা খাল থেকে মাছ ধরা। ফলমূল সংগ্রহ করা।
(খ) দার্জিলিং পাহাড়ে কী কী জিনিসের চাষ হয়?
উঃ- ধান ,স্কোয়াশ চাষ হয়।
ঙ) চাকায় লোহার বেড় দেওয়া হয় কেন?
উঃ- চাকায় লোহার বের দেওয়া হয় কারণ চাকাটি মাটির সাথে ঘর্ষণে যাতে তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে না যায়।
চ) কুম্ভকাররা তৈরী করেন এমন দুটি জিনিসের নাম লেখ।
উঃ- কুম্ভকারা মাটির হাঁরি কলসি তৈরি করে।
ছ) নক্সি কাঁথা কী দিয়ে বানানো হতো?
উঃ- বাংলার মেয়েরা সামান্য শাড়ি, ছেঁড়া কাপড় দিয়ে নকশা করা কাঁথা বানাত। কাঁথার গায়ে গল্পকথা, বাঘ, সিংহ , ঘোড়া ছুচ সুতার সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হতো।
জ) কর্মকার কাদের বলা হয় ?
উঃ- যারা কুড়ুল ,কাটারি ,কাস্তে ,কাটারি তৈরি করে এবং ধার দেয় তাদের কর্মকার বলা হয়।
ঝ) মানুষ বাঘকে পোষ মানাতে পারেনি, কিন্তু গোরুকে পোষ মানাতে পারল কেন?
উঃ- মানুষ বাঘকে পোষ মানাতে পারেনি কারণ বাঘ বন্যপ্রাণী এবং খুবই হিংস্র প্রকৃতির। অপরদিকে গরুকে পোষ মানাতে পেরেছিল কারণ গরু তৃণভোজী প্রাণী এবং বাঘের মতো হিংস্র নয়।
ঞ) যাযাবর কাদের বলে?
উঃ- যারা খাবারে সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায় তাদের যাযাবর বলে।
(গ) ছৌ নাচের মুখোশ তৈরিতে কী কী ব্যবহার করা হয় ?
উঃ- আঠালো মাটি, কাগজের মন্ড, পাতলা কাপড়, চকচকে করার জন্য গর্জন তেল, আঠা, ধুনো, পাট, নকল চুল ,পাখির পালক, রাংতা, পুতি ,সলমা ,চুমকি ও রং ব্যবহার করা হতো মুখোশ তৈরি করার জন্য।
(ঘ) মানুষ পশু পালন করে কেন?
উঃ- মানুষ পশু পালন করে দুটি উদ্দেশ্যে প্রথম উদ্দেশ্য হলো দুধ পাওয়া যায় দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো মাংস পাওয়া যায়।
তবে কুকুর পালন করা হয়েছিল আত্মরক্ষার জন্য।
(ঙ) মাটি নষ্ট হয় কীভাবে?
উঃ-মাটিতে অত্যাধিক কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার দিলে মাটি নষ্ট হয়। এছাড়া মাটিতে পলিথিন এর মত বস্তু ফেললে মাটির নষ্ট হয়।
(চ) সূর্য স্থির। তাহলে দিনে সূর্য দেখা যায়, কিন্তু রাত্রে সূর্য দেখা যায় না কেন?
উঃ- পৃথিবী নিজে আবর্তন করে। পৃথিবী যে দিকে সূর্য থাকে সেদিকে হয় দিন অপরদিকে রাত। তাই দিনে সূর্য দেখা যায় এবং অন্ধকার অংশ থেকে সূর্যকে দেখা যায় না।
(ছ) মানুষ চাষের কাজ কীভাবে শিখেছিল?
উঃ- মানুষ যে সমস্ত দানা শস্য ফলমূল ইত্যাদি খেত তার কিছু কিছু না খাওয়া অংশ অনেক সময় মাটিতে পড়ে থাকতো। কিছুদিন পর তারা সেখান থেকে নতুন চারা গাছ গজাতে দেখেছিল। এরপর তারা নিজেরা জঙ্গল থেকে বীজ সংগ্রহ করে মাটিতে বসিয়ে চাষ করতে শিখেছিল।
(জ) তৃণভোজী ও মাংসাশী প্রাণী কাকে বলে? প্রতিটির দুটি করে উদাহরণ দাও।
উঃ- যারা ঘাস, বনের লতা পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে ,তাদেরকে তৃণভোজী প্রাণী বলে ।
যেমন -গরু, ছাগল ,ভেড়া, হরিণ
-যারা মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের মাংসাশী প্রাণী বলে ।
যেমন -বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ।
(ঝ) লোককথা কাকে বলে?
উঃ- লোকের মুখে মুখে যে কথা প্রচলিত থাকে সেগুলোকে লোক কথা বলে।
(ঞ) থাকার জায়গা হারিয়ে যাচ্ছে কেন?
উঃ- গাছপালা কেটে অরণ্য ধ্বংস করা। এবং উপযুক্ত খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ার কারণে থাকার জায়গাটি কমে যাচ্ছে।
(ট) কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে? কৃত্রিম উপগ্রহ কীভাবে মহাকাশে পাঠানো হয়?
মোবাইলে কথা বলতে সাহায্য করে এরূপ একটি কৃত্রিম উপগ্রহের নাম লেখা।
উঃ- যে উপগ্রহগুলি পৃথিবী থেকে পাঠানো হয় সেগুলিকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।
কৃত্রিম উপগ্রহগুলি রকেটের সাহায্যে পাঠানো হয়।
-ইনস্যাট।
৪। যে কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৮× ২ = ১৬
(ক) মানুষ কীভাবে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল? আগুন আবিষ্কারের ফলে মানুষের
কী কী সুবিধা হল? 2+৬ = ৮
উঃ- মানুষ প্রথমে আগুন থেকে আগুন জ্বালাছে শিখেছিল । পরে চকমকি পাথর ঘষাঘষি করে আগুন জ্বালাচ্ছে শিখেছিল।
আগুন আবিষ্কারের ফলে মানুষ কাঁচা মাংস পুড়িয়ে নরম করে খেতে পারতো । প্রচন্ড শীতের হাত থেকে বাঁচতে পারতো। অন্যান্য জন্তু জানোয়ার এর হাত থেকে বাঁচতে পারতো।
(খ) আদিম মানুষেরা কোথায় ছবি আঁকতো? কী দিয়ে ছবি আঁকতো? কীসের সাহায্যে ছবি আঁকতো?
আদি মানুষরা পাহাড়ের গুহায় ,দেওয়ালে ছবি আঁকতো।
কাঠ কয়লার কালি ,জন্তু-জানোয়ারদের চর্বি মেশানো মাটি দিয়ে ছবি আঁকত।
গাছপালা, মানুষের ছবি ,জন্তু-জানোয়ারের ছবি এবং শিকার করার ছবি আঁকতো।
(গ) টীকা লেখ : ঝুমুর গান। লালন ফকির।
ঝুমুর গান – ঝুমুর শুধু গান নয়, ঝুমুর নাচও একসঙ্গে হয়ে থাকে। গানের তালে তালে নাচে আদিবাসী মেয়েরা, সাঁওতাল মেয়েরা হাতে হাত ধরে এই গান করে ।এবং নাচে এগুলি বীরভূম বাঁকুড়া মেদিনীপুর অর্থাৎ পূর্ব রাঢ় বঙ্গ জুড়ে এই নাচের প্রচলন দেখা যায়।
লালন ফকির- লালন ফকির ছিলেন বাংলার এক মহান বাউল সাধক যার কাছে আল্লাহ, হরি, রাম রহিমের আসন ছিল সমান তিনি মানুষে মানুষে মিলনের বাণী প্রচার করেছিলেন।
৫। চাঁদকে আমরা নানা রকম আকারে দেখি কেন?
চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ । 29 দিনে চাঁদ পৃথিবী চারদিকে একবার ঘুরে নেয়। পৃথিবীও নিজে আবর্তন করছে। ফলে চাঁদের আলোকিত অংশ সবসময় আমরা সম্পূর্ণটা দেখতে পাই না । কমা বাড়া দেখি। সেই জন্য চাঁদকে আমরা নানারকম আকারে দেখি।
FAQs:
মানুষ চাষের কাজ কীভাবে শিখেছিল?
মানুষ যে সমস্ত দানা শস্য ফলমূল ইত্যাদি খেত তার কিছু কিছু না খাওয়া অংশ অনেক সময় মাটিতে পড়ে থাকতো। কিছুদিন পর তারা সেখান থেকে নতুন চারা গাছ গজাতে দেখেছিল। এরপর তারা নিজেরা জঙ্গল থেকে বীজ সংগ্রহ করে মাটিতে বসিয়ে চাষ করতে শিখেছিল।
সূর্য স্থির। তাহলে দিনে সূর্য দেখা যায়, কিন্তু রাত্রে সূর্য দেখা যায় না কেন?
পৃথিবী নিজে আবর্তন করে। পৃথিবী যে দিকে সূর্য থাকে সেদিকে হয় দিন অপরদিকে রাত। তাই দিনে সূর্য দেখা যায় এবং অন্ধকার অংশ থেকে সূর্যকে দেখা যায় না।