Terrifying Bubble: 1970 সালের প্রথমদিকে বিভিন্ন অ্যাস্ট্রোনোমাররা ইউনির্ভাস কে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে স্ক্যান করছিলেন। আর ঠিক তখনই তাদের কাছে এমন এক তথ্য সামনে আসে যেটা দেখে পুরো স্পেস কমিউনিটি(space community)হকচকিত হয়ে যায়।
ওনারা সিদ্ধান্তে আসেন যে আমাদের সৌরজগতের চারদিকে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূর পর্যন্ত কোন পদার্থই নেই বরঞ্চ একটা ভীষণ বৃহৎ এরিয়া যার মধ্যে 14 মিলিয়ন বছরের মধ্যে একটা নক্ষত্র জন্মাতে পারেনি। যেখানে প্রতি দুই আলোকবর্ষ দূরত্বের মধ্যে একটি নক্ষত্রের জন্মানোর কথা। সেখানে এত দূর দূর আলোকবর্ষের মধ্যেও কোন নক্ষত্র জন্মাতে দেখা যায়নি পিছনে প্রায় 14 মিলিয়ন বছর ধরে।
NASA Discovers A Terrifying Bubble:
তাই এখন বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন আমাদের পৃথিবীর সহ সমগ্র সোলার সিস্টেম বা সৌরজগৎ একটা বিরাট বুদবুদ (Terrifying Bubble ) -এর মধ্যে অবস্থিত। যেই বুদবুদটিকে ওনারা নাম দিয়েছেন The local bubbles.
আরো কিছু রিসার্চ করার পরে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে আজ পৃথিবীতে আমরা যা কিছু দেখতে পাচ্ছি বা পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যা কিছু বিকাশ হয়েছে, সবই এই বুদবুদ এর দয়ার জন্য।
এখন আমরা দেখব এই বাবেলস কিভাবে তৈরি হয়েছে:
বন্ধুরা পিছনের 50 বছর ধরে আমরা এটা তো জানি যে আমাদের পৃথিবীর সহ সৌরমণ্ডল একটা বুদবুদের মধ্যে অবস্থান করছে, এখন আপনার মনের মধ্যে অনেকগুলি প্রশ্ন জাগবে যে আসলে এই এই বৃহদাকার বুদবুদ তৈরি হলো কিভাবে আর তার প্রকৃত আকৃতিই বা কি রকম। আসলে শুধু আপনি নন এই প্রশ্ন পিছনে বহু বছর ধরে বিজ্ঞানীদের মনেও রেখাপাত করে আসছে।
সম্প্রতি একটা গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীদের এই ধারণার অর্থাৎ এই বুদবুদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ক্যাথরিন জুকার (Center For Astrophysics )
Center For Astrophysics (CFA) এর ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন এক্সপার্ট ক্যাথরিন জুকার প্রথম চিন্তা করেন যে তিনি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ওরিয়ন আর্মের একটি থ্রিডি ম্যাপ এর কথা। আসলে আমাদের সোলার সিস্টেমও এই আর্মের মধ্যেই অবস্থান করছে। কিন্তু তার কাছে এটা সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল যে এটা করা যাবে কিভাবে।
সেজন্য তিনি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এর GAIA SPACE OBSERVATORY এর সাহায্য চান।
এই অবজারভেটারি খুবই ক্ষমতাশালী কারণ সাধারণ কথাই বললে এটি এক হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও একটি মানুষের চুলের ব্যাসার্ধ সু নিপুন পরিমাপ করতে সক্ষম।
বাস্তবিকভাবেই ক্যাথরিন জুকার ওরিয়ন আর্মের থ্রিডি ম্যাপ বানাতে সক্ষম হন।
15 টি সুপার নোভা বিস্ফোরণ:
আর যখন ক্যাথরিন এবং ওনার টিম এই সিস্টেমের সাহায্যে থ্রিডি মডেলে সমস্ত স্টার এবং বিভিন্ন গ্যাস ক্লাউড এর মুভমেন্ট কে রিভার্সে প্লে করেন তখনই ওনারা জানতে পারেন যে এই যে Bubble বা বুদবুদ এটা কেবলমাত্র 14 মিলিয়ন বছর পুরনো। আর এই Bubble ফরমেনসন শুরু হয়েছিল ইউনিভার্স এর স্টার ফর্মেনশন থেকে। অর্থাৎ এখন যেখানে এই Bubble বা বুদবুদ অবস্থিত সেখানে আগে 15 টি বৃহৎ নক্ষত্র অবস্থান করত। আর যখন এই নক্ষত্ররা তাদের লাইফ সাইকেলের অন্তিম দশায় পৌঁছে যায় তখন তারা এক এক করে সুপার নোভা এক্সপ্লোশন এ বাস্ট হতে থাকে।
যেমন ধরুন একটি পাউডার ভর্তি বেলুন, এখন এই বেলুনকে যদি ফাটিয়ে দেয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে যে তার মধ্যে যে পাউডার ছিল তা বাইরের দিকে সরে যাচ্ছে।
এখন এই ১৫ টি সুপার নোভা বিস্ফোরণ থেকে যে মাত্রায় শক্তি নির্গত হয়েছিল তা ওই সমগ্র রিজিয়নে অবস্থিত ইন্টারস্টেলর মেটেরিয়ালসকে বাইরের দিকে পুশ করতে থাকে। আর ওই রিজিওন কে পুরোপুরি ভাবে ফাঁপা বানিয়ে দিয়েছে।
আরে বিস্ফোরণের জন্যই সেই রিজিয়নে অবস্থিত বাকি মেটিরিয়ালশের সঙ্গে সঙ্গে যে স্টার ক্রিয়েটিং মেটেরিয়ালস যেমন হাইড্রোজেন, এই বুদবুদ এর মধ্যে মধ্যে মধ্যে জমা হতে থাকে। অর্থাৎ ইনডাইরেক্টলি এখানে একটা স্টার ফর্মিং রিজিয়ন তৈরি হয়ে যায়।
এখন কিন্তু এই Bubbles এর সারফেসে সাতটি স্টার ফর্মিং রিজিয়ন বর্তমান।
আর এই বুদবুদের আকৃতি? এটা কিন্তু সাধারণ বুদবুদের আকৃতির মত নয়। এটি একটি রেনডমাইজড ব্লক সেফ-এর মতো। যেটা নিজে 6.4 কিলোমিটার পার সেকেন্ড স্পিডে বাড়তে থাকছে।
এখানে আরেকটি তথ্য সামনে আসছে আমাদের পৃথিবীর সহ সোলার সিস্টেম কিন্তু এই বাবেলসের একদম সেন্টারে অবস্থিত।
এখন প্রশ্ন হতে পারে যে আমাদের পৃথিবী তো তৈরি হয়েছে 4.5 বিলিয়ন ইয়ার্স আগে, আর সূর্য তৈরি হয়েছে 4.6 বিলিয়ন ইয়ার্স আগে, আর এই বুদবুদ তো 14.4 মিলিয়ন ইয়ার্স আগে তৈরি হয়েছে, তাহলে সূর্য এবং পৃথিবী এই বুদবুদের মধ্যে এল কিভাবে?
তাছাড়া ১৫ টি বিস্ফোরণের পরেই যদি এই বুদবুদ তৈরি হলো তাহলে তার মধ্যে আবার আমাদের সোলার সিস্টেম তৈরি হলো কিভাবে?
বন্ধুরা সবার আগে আমাদের সূর্যের অবস্থান চিন্তা করা যাক। এটা একটা কো ইনসিডেন্ট। আমাদের সোলার সিস্টেম প্রথমে এখানে ছিল না। বরঞ্চ আমাদের গ্যালাক্সি মিলকিওয়ে কে প্রদক্ষিণ করতে করতে কখন এর মধ্যে এসে পড়েছে। শুধু এই সোলার সিস্টেমই নয় আরো অনেক নক্ষত্র আছে যারা এই Bubbles সঙ্গে মিলকিওয়ে কে প্রদক্ষিণ করছে। অর্থাৎ এখানে একটা ব্যাপার স্পষ্ট হলো এই বুদবুদের ভেতর থেকে বস্তু কখনো বাইরে যাচ্ছে বা বাইরে থেকে ভিতরেও প্রবেশ করছে, কিন্তু স্টার ফর্মিং ম্যাটার না থাকার জন্য কোন স্টার এখানে তৈরি হতে পারছে না।
এখানে আরেকটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ”যে আমরা এই ১৫ টি সুপারনোভা থেকে বাঁচলাম কিভাবে?”
এখানে কিন্তু জানতে হবে যে সুপর্ণভা থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন কোন স্বাভাবিক রেডিয়েশন নয়, এটা সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশনের থেকেও বহুগুণ শক্তিশালী। আসলে যখন প্রথম এই সুপারনোভা বিস্ফোরণ গুলি ঘটছিল তখন তো পৃথিবীতে আমরা ছিলাম না। আমাদেরকে অর্থাৎ আমাদের পৃথিবীকে যার বিপক্ষে বাঁচতে হয়েছে তা হল এই সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে নির্গত ডাস্ট এবং গ্যাস।
যেটা আবার আমাদের জন্য সঁআপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিভাবে? আসলে শেষ দুই সুপারনোভা বিস্ফোরণ আজ থেকে প্রায় 2.2 থেকে 2.5 মিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল। আর আমাদের পৃথিবীর শেষ বরফ যুগ বা আইস এজ সেই সময়েই ঘটেছিল। আর তখন আমাদের পৃথিবীতে যত জীব বেঁচে ছিল সবই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ প্রাণসচ্ছল সবুজ পৃথিবী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এই বিস্ফোরণ ই আবার পৃথিবীকে নতুন করে আজকের পৃথিবীর রূপ দিয়েছে। কিভাবে ?
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই সুপর্ণাভা বিস্ফোরণ থেকে বেরিয়ে আসা ডাস্ট পুরো পৃথিবীর সারফেসকে আইরনে ঢেকে দিয়েছিল। আইরন পরমাণু একটি ইলেকট্রনকে নিজের কাছে নিয়ে বা একটি ইলেকট্রনকে নিজের থেকে বিচ্যুত করে বেশ কয়েক রকম আয়ন তৈরি করতে পারে, মাল্টপিল রিঅ্যাকশন করতে পারে। তাই আইরনের এই ধর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অর্গানিক কোষের মধ্যে বায়োকেমিক্যাল রিঅ্যাকশনগুলো শুরু হয়েছিল।
যার ফলে মেটাবলিক প্রসেস সমূহ যেমন ডিএনএ সিন্থেসিস, সেলুলার এনার্জি জেনেরেট, এইসব ঘটনা গুলি যেগুলি জীব সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য সেগুলি রেপিডলি ইনক্রিজ হতে থাকে।
অর্থাৎ এখানেও সেই ধ্বংসের মধ্যেই যেন সৃষ্টির বীজ বপন হয়েছে।
এখন বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী এই বুদবুদের এর বৃদ্ধি পাওয়ার গতিবেগ ক্রমশ কমতে থাকছে। একটা সময় হয় তো এটা স্থির হয়ে যাবে। তারপর কখনো হয়তো এই বুদবুদ মহাকাশে বিলীন হয়ে যাবে। তবে এসব ঘটনা গুলি ঘটতে কিন্তু মিলিয়ন মিলিয়ন বছর সময় লেগে যাবে।
তবে এই ঘটনাগুলির কতটা সত্যতা আছে তা নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওনারা আরো এরকম বুদবুদ এর সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে আমরা আমাদের গ্যালাক্সি মিলকিওয়ে-এর ইতিহাস আরো গভীরভাবে জানতে পারি।
এটি পড়ে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
FAQ :
সুপর্ণভা বিস্ফোরণ পৃথিবীকে নতুন করে আজকের পৃথিবীর রূপ দিয়েছে। কিভাবে ?
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই সুপর্ণাভা বিস্ফোরণ থেকে বেরিয়ে আসা ডাস্ট পুরো পৃথিবীর সারফেসকে আইরনে ঢেকে দিয়েছিল। আইরন পরমাণু একটি ইলেকট্রনকে নিজের কাছে নিয়ে বা একটি ইলেকট্রনকে নিজের থেকে বিচ্যুত করে বেশ কয়েক রকম আয়ন তৈরি করতে পারে, মাল্টপিল রিঅ্যাকশন করতে পারে। তাই আইরনের এই ধর্মকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অর্গানিক কোষের মধ্যে বায়োকেমিক্যাল রিঅ্যাকশনগুলো শুরু হয়েছিল। যার ফলে মেটাবলিক প্রসেস সমূহ যেমন ডিএনএ সিন্থেসিস, সেলুলার এনার্জি জেনেরেট, এইসব ঘটনা গুলি যেগুলি জীব সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য সেগুলি রেপিডলি ইনক্রিজ হতে থাকে। অর্থাৎ এখানেও সেই ধ্বংসের মধ্যেই যেন সৃষ্টির বীজ বপন হয়েছে।
আমরা এই ১৫ টি সুপারনোভা থেকে বাঁচলাম কিভাবে?
সুপর্ণভা থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন কোন স্বাভাবিক রেডিয়েশন নয়, এটা সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশনের থেকেও বহুগুণ শক্তিশালী। আসলে যখন প্রথম এই সুপারনোভা বিস্ফোরণ গুলি ঘটছিল তখন তো পৃথিবীতে আমরা ছিলাম না।
ক্যাথরিন জুকার কে ?
Center For Astrophysics (CFA) এর ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন এক্সপার্ট ক্যাথরিন জুকার যিনি প্রথম চিন্তা করেন যে তিনি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ওরিয়ন আর্মের একটি থ্রিডি ম্যাপ বানানোর এর কথা।