এই পোষ্টে পাওয়া যাবে “West Bengal Class 4 science scholarship question bank” — অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ। সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে নির্বাচন করা প্রশ্নসহ সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উত্তর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য সম্পদ। নিয়মিত আপডেট হবে, তাই ছাত্রছাত্রীরা এখানে এসে পুনরাবৃত্তি করে পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাস নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

দাহ্য বস্তু ও বিপদ
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
ক) দাহ্য কথাটি কোন্ কথা থেকে এসেছে?
উত্তর: দহন থেকে দাহ্য কথাটি এসেছে।
খ) দহন মানে কী?
উত্তর: দহন মানে পোড়া।
২. নীচের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো :
ক) দাহ্য বস্তু ও বিপদ
উত্তর: যে-সমস্ত বস্তু আগুনের সংস্পর্শে জ্বলে ওঠে বা অল্প সময়ে পুড়ে যায়, তাকে দাহ্য বস্তু বলে। তাই এই বস্তুগুলি থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। এই সমস্ত দাহ্য বস্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন- দেশলাই কাঠির আলো জ্বালানোটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে আলো জ্বালানোর সময় দেশলাই কাঠিটি যেখানে সেখানে ফেললে বিপদ ঘটতে পারে। আবার সিগারেট খাওয়ার পর সেটি কোথায় ফেলা হচ্ছে, সে ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার, নাহলে বিপদ ঘটতে পারে।
৩. শূন্যস্থান পূরণ করো :
ক) খড়, কেরোসিন, শুকনো পাতা এগুলি সবই দাহ্য বস্তু।
খ) বাজি, পটকা এসব দাহ্য বস্তু সাবধানে ভাবে নাড়াচাড়া করা উচিত।
৪. সত্য বা মিথ্যা লেখো :
(ক) বাজি তৈরির মশলায় আগুন লাগলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
উত্তর: সত্য
(খ) কোথাও আগুন লাগলে শুকনো পাতা চাপা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভে যায়।
উত্তর: মিথ্যা
বর্জ্য পদার্থ
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
ক) বর্জ্য পদার্থ কী?
উত্তর: যে নোংরা পদার্থগুলিকে বর্জন করা হয় বা ফেলে দেওয়া হয়, তাকে বর্জ্য পদার্থ বলা হয়।
খ) কয়েকটি বর্জ্য পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: মৃত জীবজন্তু, জীবজন্তুর মলমূত্র, মাটির ভাঁড়, কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল প্রভৃতি।
২. নীচের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো :
আবর্জনার উৎস
উত্তর: আবর্জনার উৎসগুলি হল-
(i) গৃহস্থালির ময়লা ও আবর্জনা, যেমন- ডিমের খোসা, মাছের কাঁটা, মাংসের হাড়, আনাজের খোসা প্রভৃতি।
(ii) মাটিতে মেশে না এমন বর্জ্য পদার্থ ও আবর্জনার উৎস, যেমন- প্লাস্টিকের বোতল, কাচের টুকরো, প্লাস্টিকের প্যাকেট প্রভৃতি।
৩. শূন্যস্থান পূরণ করো :
ক) বর্জ্য পদার্থ পচে দুর্গন্ধ বেরোয়।
খ) কিছু বর্জ্য পদার্থ মাটিতে মেশে না।
বিষাক্ত প্রাণী থেকে সাবধান
১. নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করো :
ক) সাপের বিষ
উত্তর: সাপের দাঁতের নীচে বিষথলিতে বিষ থাকে। এরা ভয় পেয়ে নিজেদের বাঁচাতে মানুষকে কামড়ায়। সাপ কামড়ানোর জায়গায় নিজের বিষ ঢেলে দেয়। মানুষের শরীরে এইরকম বিষের প্রবেশ ঘটলেই জ্বালা, যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় এবং কয়েক মুহূর্ত পরেই ওই স্থানটি ফুলে ওঠে।
খ) সাপের কামড় ও মানুষের কর্তব্য
উত্তর: বিষাক্ত সাপ মানুষকে কামড়ালে সময়মতো চিকিৎসার প্রয়োজন। কারণ চিকিৎসা নাহলে মানুষ মারা পর্যন্ত যেতে পারে। তাই কাউকে সাপে কামড়ালে মানুষের কর্তব্য হল- সময় নষ্ট না করে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। যদি হাসপাতালে পৌঁছোতে দেরি হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই আঘাতের স্থানে বিষদাঁত লেগে থাকলে তা হালকাভাবে তুলে ফেলে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলা দরকার। আক্রান্ত ব্যক্তিটি বমি করতে চাইলে তাকে বমি করতে দেওয়া উচিত। রোগী যাতে ভয় না পায়, সেই বিষয়ে তাকে সাহস দেওয়া দরকার।
গ) বিষাক্ত প্রাণী
উত্তর: যে-সমস্ত প্রাণীদের সাপের মতোই দাঁতের নীচে বা হুলে বিষ থাকে, তাদেরকে বিষাক্ত প্রাণী বলে। যেমন- মৌমাছি, কাঁকড়াবিছে, সাপ প্রভৃতি।
২. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) বিষাক্ত পতঙ্গের বিষ থাকে (হুলের) গোড়ায়।
(খ) সাপে কামড়ালে রোগীর পায়ের (উরু) অংশে দড়ি হালকা করে বাঁধতে হবে।
রোগ সারাতে গাছ
১. নীচের রোগগুলির জন্য প্রাথমিকভাবে কোন্ কোন্ ধরনের গাছপালা ব্যবহার করা হয়, বড়োদের সঙ্গে আলোচনা করে তা লিখে ফ্যালো।
| কী ধরনের শরীর খারাপ | কোন ধরনের গাছপালা ব্যবহার করা হয় | কীভাবে ব্যবহার করা হয় |
|---|---|---|
| ১. সর্দি ও কাশি | তুলসী পাতা, বাসক পাতা | এইসমস্ত পাতাগুলির সঙ্গে গোলমরিচ জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খাওয়া হয়। |
| ২. জ্বর | তুলসী পাতা, শিউলি পাতা | তুলসীপাতা, গোল মরিচ এবং মিছরি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে সেই জল দিনে তিন-চার বার খেতে হবে। শিউলির পাতা চা-এর মতো ফুটিয়ে পান করতে হবে। |
| ৩. আঘাত লেগে ব্যথা | রাংচিতার ডাল | রাংচিতার ডাল থেঁতো করে আগুনে গরম করে নিয়ে সেই গরম রসটি দু-দিন ব্যথার জায়গায় লাগাতে হবে। |
| ৪. কেটে গেলে | গাঁদা ফুলের পাতা | গাঁদা ফুলের পাতা ঘষে বা থেঁতো করে নিয়ে কাটা জায়গায় দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। |
| ৫. পেটের অসুখ | থানকুনি পাতা | থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দিনে দু-বার খেতে হবে। |
২. রেখাঙ্কিত শব্দটি সংশোধন করে লেখো।
(ক) পায়ে ব্যথা লাগলে হলুদ-চিনি গরম করে লাগাতে হবে।
সংশোধন: চুন-হলুদ
(খ) কালমেঘ পাতা জলে ফুটিয়ে গরম জলটি খেলে গলা ব্যথা কমে যায়।
সংশোধন: বাসক
(গ) পায়ের ব্যথা সারাতে শিউলির পাতা করে লাগানো হয়।
সংশোধন: রাংচিতার ডাল
৩. বাড়ির বড়োদের সঙে আলোচনা করে নীচে লিখে ফ্যালো।
| গাছের নাম | ওই গাছের কোন্ অংশ ব্যবহার করা হয় | কোন্ রোগ সারাতে ব্যবহার করা হয় | কীভাবে ব্যবহার করা হয় |
|---|---|---|---|
| তুলসী | পাতা | সর্দি-কাশি, দাঁতের ব্যথা, গলা ব্যথা প্রভৃতি। | তুলসী পাতার রস করে নিয়ে বা পাতাকে জলে ফুটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে মধু ও লেবু মিশিয়ে খাওয়া হয়। |
| নয়নতারা | ফুল, পাতা ও সমগ্র গাছ | কৃমির সমস্যা, মধুমেহ রোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধি, চর্মরোগ প্রভৃতি। | নয়নতারা ফুল বা পাতা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই ভেজানো জল ছেঁকে নিয়ে আগুনে ফুটিয়ে সেই জল পান করা হয়। |
| কালমেঘ | পাতা, মূল | লিভারের সমস্যা, ক্যান্সার, রক্ত আমাশয়, আর্থারাইটিস প্রভৃতি। | পাতা থেকে রস তৈরি করে তরল হিসেবে পান করা হয়। |
| থানকুনি | পাতা | পেটের অসুখ, মুখের ভিতরে ঘা, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে প্রভৃতি। | খালি পেটে একটি করে থানকুনি পাতা খাওয়া হয় বা প্রতিদিন থানকুনি পাতা থেঁতো করা রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া হয়। |
| কুলেখাড়া | পাতা, শিকড়, বীজ | শরীরে রক্তের অভাব, অনিদ্রা নিবারণ প্রভৃতি। | কুলেখাড়া পাতা সেদ্ধ করে নিয়ে ছেঁকে সেই জলটি ব্যবহার করা হয়। আবার কুলেখাড়ার শিকড়ের রস দু-তিন চামচ খেলেও ঘুম ভালো হয়। |
ভেষজ উদ্ভিদ
১. নীচের বিষয়টি ব্যাখ্যা করো :
ভেষজ উদ্ভিদ
উত্তর: আমাদের চারপাশে যে-সমস্ত উদ্ভিদ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে, তাদের ভেষজ উদ্ভিদ বলে। এমন কোনো গাছ প্রায় নেই, যে গাছের মধ্যে ভেষজ গুণ লক্ষ করা যায় না। তাই গাছপালা চেনা জরুরি। মূলত এই গাছগুলির কোনো-না-কোনো অংশ রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- তুলসীর পাতা, কুলেখাড়ার পাতা, শিকড়, বীজ, থানকুনির পাতা প্রভৃতি।
২. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
(ক) আগেকার মানুষ (শিকড়বাকড়) খেয়ে রোগ সারাত।
(খ) কুলেখাড়া পাতার রস খেলে শরীরে (রক্ত) বাড়ে।
Knowledge Clip: অ্যালোভেরার উপকারিতা কী?
- হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতে, মুখে ও জিভের ঘা, পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রভৃতি নিরাময় করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে।
হারিয়ে যাওয়া ভেষজ গাছের খোঁজে, এলাকার গাছ: জীবিকা ও সম্পদ
১. বড়োদের সঙ্গে আলোচনা করো। না পাওয়ার বা সংখ্যায় কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করো।
| গাছপালার নাম | তোমার এলাকায় এখনও কি প্রচুর পাওয়া যায়/বা পাওয়া যায় না? | না পাওয়া বা সংখ্যায় কমে যাওয়ার কারণটি উল্লেখ করো |
|---|---|---|
| ১. বাসক | পাওয়া যায় | – |
| ২. কালমেঘ | সংখ্যায় কম পাওয়া যায় | ওষুধ প্রস্তুতির জন্য এবং আগাছা পরিষ্কার করার জন্য। |
| ৩. মেহগনি | পাওয়া যায় না | মেহগনি গাছ থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায় বলে এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গাছ কেটে কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে। |
| ৪. তুলসী | পাওয়া যায় | – |
| ৫. নারকেল | পাওয়া যায় | – |
| ৬. সেগুন | পাওয়া যায় না | সেগুন গাছ থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায় বলে আসবাবপত্র তৈরির জন্য এলাকা থেকে গাছ কেটে কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে। |
| ৭. নয়নতারা | পাওয়া যায় না | এই গাছের পাতা থেকে ওষুধ তৈরি করা হয় বলে এলাকা থেকে গাছগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। |
| ৮. নিম | পাওয়া যায় | – |
| ৯. ইউক্যালিপটাস | পাওয়া যায় না | সুগন্ধি দ্রব্য প্রস্তুত করার জন্য ইউক্যালিপটাস গাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে। |
| ১০. সর্পগন্ধা | পাওয়া যায় না | সর্পগন্ধা গাছের পাতা থেকে ওষুধ তৈরি হয় বলে এলাকা থেকে গাছটি সংগ্রহ করা হয়েছে। |
২. শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক) অতীতে মানুষ বিভিন্ন রোগ প্রতিকারের জন্য সরাসরি গাছপালা ব্যবহার করত।
খ) আমরুল পাতার রস রক্ত আমাশয় রোগ নিরাময় করে।
চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান বিষয়ের আরো প্রিপারেশনের জন্য নিচে ক্লিক করুন।
👇👇👇👇👇
West Bengal Class 4 scholarship science question bank — চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর