
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল (Exam Promotion Policy) ফিরছে কি না, তা নিয়ে স্কুলগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে শিক্ষা মহলে জল্পনা অব্যাহত।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল। ধোঁয়াশা কেন?
কেন্দ্রীয় সরকারের New Education Policy (NEP) অনুযায়ী, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানায়, এই স্তরের শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়, তবে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। তাতেও সফল না হলে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে না।
তবে, West Bengal Board of Primary Education বা Madhyamik Shiksha Parishad-এর পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। ফলে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির মধ্যে প্রচুর confusion তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে কী সিদ্ধান্ত হতে পারে (Exam Promotion Policy)?
২০১৯ সালে রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল চালুর ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু COVID-19 Pandemic-এর কারণে তা কার্যকর হয়নি। বর্তমানে, কেন্দ্রের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা মহলে জল্পনা বাড়লেও, West Bengal Education Department এ নিয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে। তবে, শিক্ষকদের দাবি, সরকারি নির্দেশ না এলে তারা পরীক্ষা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না।
Important Festivals of Different States of India: বিভিন্ন রাজ্যের উৎসব
হোলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
এ বছর থেকে Holistic Report Card চালু হওয়ায় মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। এতে শারীরশিক্ষা (Physical Education) ও কর্মশিক্ষা (Work Education)-র নম্বরের নতুন বিভাজন নেই। শিক্ষকদের হাতে লিখে নম্বর দিতে হচ্ছে, যা প্রশাসনিকভাবে সময়সাপেক্ষ।
এছাড়া, SMS Portal থেকে ডিজিটাল মার্কশিট প্রিন্ট করা যাবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। শিক্ষা মহলের অনেকে মনে করছেন, এই ধরণের পরিবর্তন আনতে হলে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন।
উপসংহার
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে Exam Promotion Policy নিয়ে রাজ্যে ধোঁয়াশা থাকলেও, আগামী দিনে বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই বিষয়ে যথাযথ নির্দেশিকা জারি করা হলে স্কুলগুলির বিভ্রান্তি দূর হবে। তবে, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি।