CBSE-র যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: CBSE Open Book Exams Class 9, ভালো মন্দ বিশ্লেষণ

CBSE Open Book Exams Class 9: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সি.বি.এস.ই) সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্লাস ৯-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওপেন বুক অ্যাসেসমেন্ট (ওবিএ) চালু করা হবে।, aligning with NEP 2020 to promote critical thinking over rote learning. This in-depth article explores details, history, pros, cons, reactions, and future implications.

WhatsApp WhatsApp Group
Join Now
Telegram Telegram Group
Join Now
CBSE Open Book Exams Class 9

Table of Contents

পরিচিতি: ভারতীয় শিক্ষায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা

এই পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা তাদের টেক্সটবুক, ক্লাস নোটস বা অনুমোদিত রিসোর্স রেফার করে উত্তর দিতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় শিক্ষা নীতি (এন.ই.পি) ২০২০ এবং জাতীয় কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন (এন.সি.এফ.এস.ই) ২০২৩-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো রোট লার্নিং কমানো এবং ছাত্রছাত্রীদের অ্যানালিটিক্যাল, ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং এবং প্রবলেম-সলভিং স্কিল বিকশিত করা।

এই খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকায়, যা ভারতীয় শিক্ষা জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য মিডিয়া আউটলেট যেমন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস এবং জাগরণ জোশ-এও এই খবরটি কভার করা হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা এই খবরটি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে দেখবো, যাতে পাঠকরা এর সম্পূর্ণ ছবি পান। খবরটি শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন নয়, বরং ভারতীয় শিক্ষার ভবিষ্যতের একটি দিকনির্দেশনা। এটি ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার চাপ কমাতে এবং লার্নিংকে আরও প্র্যাকটিক্যাল করতে সাহায্য করবে।

খবরের বিস্তারিত বর্ণনা: কী, কখন এবং কীভাবে বাস্তবায়িত হবে?

সিবিএসই-র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বোর্ড জুন মাসে এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ওপেন বুক পরীক্ষা প্রথমে ক্লাস ৯-এর জন্য চালু হবে, এবং এটি চারটি সাবজেক্টে প্রযোজ্য: ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান। পরীক্ষার সময় ছাত্রছাত্রীরা তাদের বই বা নোটস দেখে উত্তর দিতে পারবে, কিন্তু প্রশ্নপত্রগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যাতে শুধু কপি করা যায় না, বরং অ্যাপ্লিকেশন, অ্যানালিসিস এবং প্রবলেম-সলভিং স্কিল পরীক্ষা করা যায়।

এই পরীক্ষা অপশনাল, অর্থাৎ স্কুলগুলোর উপর নির্ভর করবে কীভাবে এটি বাস্তবায়িত করা হবে। সি.বি.এস.ই-র মতে, এটি টার্ম-এন্ড পরীক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে, এবং ভবিষ্যতে এটি অন্যান্য ক্লাসে (যেমন ১০, ১১ বা ১২) প্রসারিত করা যেতে পারে। এই খবরটি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, যেমন এনডিটিভি এবং ইন্ডিয়া টুডে, যারা এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। সি.বি.এস.ই স্ট্যান্ডার্ডাইজড স্যাম্পল পেপার এবং গাইডলাইন প্রদান করবে যাতে স্কুলগুলো সঠিকভাবে এটি চালাতে পারে।

পাইলট প্রোগ্রামের ইতিহাস: অতীতের অভিজ্ঞতা এবং ফলাফল

সিবিএসই এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ক্লাস ৯ থেকে ১২-এর ছাত্রছাত্রীদের উপর একটি পাইলট ওপেন বুক পরীক্ষা চালিয়েছে। ফলাফল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়, যেখানে স্কোর ১২% থেকে ৪৭% এর মধ্যে ছিল। এই ফলাফল দেখায় যে অনেক ছাত্রছাত্রী এখনও কারিকুলামের বাইরে গিয়ে বিষয়গুলোর গভীর বোঝা অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু এই পদ্ধতি তাদের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

পাইলট প্রোগ্রামের ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে ওপেন বুক পরীক্ষা ছাত্রছাত্রীদের মেমরাইজেশনের পরিবর্তে অ্যাপ্লাইড নলেজ পরীক্ষা করে। ইটিভি ভারত এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, এই পাইলট সফলতার সাথে শেষ হয়েছে এবং এটি নতুন সিদ্ধান্তের ভিত্তি তৈরি করেছে। পাইলটে অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা এই পদ্ধতির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ যেমন সময় ম্যানেজমেন্ট এবং রিসোর্স ব্যবহারের সমস্যা উঠে এসেছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে সিবিএসই আরও উন্নত গাইডলাইন তৈরি করেছে।

সি.বি.এস.ই-র পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা: ওপেন টেক্সট-বেসড অ্যাসেসমেন্ট (ও.টি.বি.এ)

সি.বি.এস.ই এর আগে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত ক্লাস ৯ এবং ১১-এর জন্য ওপেন টেক্সট-বেসড অ্যাসেসমেন্ট (ও.টি.বি.এ) চালিয়েছিল। এতে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার আগে প্রদত্ত ম্যাটেরিয়াল রেফার করতে পারত, কিন্তু এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়ে ২০১৭-১৮ সালে বন্ধ করা হয়। ও.টি.বি.এ-র উদ্দেশ্য ছিল ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং প্রমোট করা, কিন্তু ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের মতে এটি ক্রিটিক্যাল স্কিল বিকশিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সি.বি.এস.ই এবারের ও.বি.এ-কে আরও উন্নত করেছে, যেমন প্রশ্নপত্রের ডিজাইন এবং রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, পূর্ববর্তী ব্যর্থতা থেকে এবার সি.বি.এস.ই আরও সতর্ক। এটি দেখায় যে সি.বি.এস.ই শিক্ষা রিফর্মে ক্রমাগত উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উদ্দেশ্য: রোট লার্নিং থেকে কম্পিটেন্সি-বেসড লার্নিং-এর দিকে

এই পরিবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের রোট লার্নিং থেকে মুক্তি দেওয়া এবং তাদের ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং, প্রবলেম-সলভিং এবং অ্যানালিসিস স্কিল বিকশিত করা। এন.ই.পি ২০২০-এর মতে, শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল তথ্য মুখস্থ করার উপর নির্ভর করবে না, বরং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার ক্ষমতা বাড়াবে।

শিক্ষকরা এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এটি ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাকটিক্যাল স্কিল বাড়াবে। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, এটি ছাত্রছাত্রীদের স্ট্রেস কমাবে এবং লার্নিংকে আরও আকর্ষণীয় করবে। উদ্দেশ্য হলো শিক্ষাকে আরও সমসাময়িক করা, যাতে ছাত্রছাত্রীরা ২১শ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। এটি ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং রিসার্চ স্কিল বাড়াবে।

সুবিধাগুলো: শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন

ওপেন বুক পরীক্ষার অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এটি ছাত্রছাত্রীদের মেমরাইজেশনের চাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং তাদের ফোকাস করে অ্যাপ্লাইড নলেজ-এ। দ্বিতীয়ত, এটি ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং প্রমোট করে, যা ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারে সাহায্য করবে।

তৃতীয়ত, এটি ছাত্রছাত্রীদের টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং রিসোর্স ইউটিলাইজেশন শেখায়। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, এটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও কম্পিটেন্সি-বেসড করে তুলবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় (যেমন এক্স-এ) অনেকে এটিকে পজিটিভ বলে মনে করেছেন, যেমন BYOL Academy-র একটি পোস্টে বলা হয়েছে যে এটি রোট লার্নিং কমাবে এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে থিঙ্কিং স্কিল এবং রিসোর্স নেভিগেশন বাড়াবে।

চতুর্থত, এটি ছাত্রছাত্রীদের স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং লার্নিংকে এনজয়েবল করে। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মিলবে, যেখানে ওপেন বুক পরীক্ষা দশক ধরে চালু রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক্সপ্লেইনারে বলা হয়েছে যে এটি ছাত্রছাত্রীদের রিয়েল-ওয়ার্ল্ড অ্যাপ্লিকেশন শেখাবে। পঞ্চমত, এটি ছাত্রছাত্রীদের রিসার্চ এবং অ্যানালিসিস স্কিল বাড়ায়, যা উচ্চশিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। একটি অধ্যয়ন অনুসারে, ওপেন বুক পরীক্ষায় স্ট্রেস কম হয় এবং পারফরম্যান্স ভালো হয়।

ষষ্ঠত, এটি শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র ডিজাইন করতে উৎসাহিত করবে যা গভীরতর চিন্তাভাবনা প্রমোট করবে। সপ্তমত, এটি শিক্ষা ব্যবস্থায় অসমতা কমাতে পারে, কারণ ছাত্রছাত্রীরা রিসোর্স ব্যবহার করে নিজেদের দুর্বলতা কভার করতে পারবে। অষ্টমত, এটি লার্নিংকে লাইফলং প্রক্রিয়া করে তোলে, যেমন বাস্তব জীবনে আমরা সবসময় রিফারেন্স ব্যবহার করি। নবমত, এটি ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা এবং গ্রুপ ওয়ার্ক শেখায়, যদি গ্রুপ অ্যাসেসমেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়। দশমত, এটি শিক্ষা রিফর্মের অংশ হিসেবে এন.ই.পি-র লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

অসুবিধাগুলো: চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমস্যা

তবে এই পদ্ধতির কিছু অসুবিধাও রয়েছে। প্রথমত, এটি ছাত্রছাত্রীদের মেমরি স্কিল দুর্বল করতে পারে, কারণ তারা মুখস্থ করার অভ্যাস হারাবে। এক্স-এ পারিতোষ ভ্যাসের মতো কিছু পোস্টে বলা হয়েছে যে এটি ছাত্রছাত্রীদের স্টাডি হার্ড করার ইনিশিয়েটিভ কমাবে।

দ্বিতীয়ত, অ্যাকাডেমিক ডিস-অনেস্টির ঝুঁকি বাড়বে, যেমন ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে। তৃতীয়ত, গ্রামীণ এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য রিসোর্সের অসমতা থাকবে, যা অসমানতা বাড়াবে। ডক্টর কমলেশ কালির মতো এক্সপার্টদের পোস্টে বলা হয়েছে যে পাস্ট ফেলিয়ার এবং সিস্টেমিক গ্যাপগুলো অ্যাড্রেস করা দরকার।

চতুর্থত, প্রশ্নপত্র ডিজাইন না হলে এটি শ্যালো লার্নিং প্রমোট করতে পারে। অভিজিত সাতোগিয়ার পোস্টে বলা হয়েছে যে এটি ছাত্রছাত্রীদের দুর্বল করে তুলবে এবং কম্পিটিটিভ এক্সামের জন্য প্রস্তুত করবে না। পঞ্চমত, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে না। ষষ্ঠত, সময় ম্যানেজমেন্টের চ্যালেঞ্জ থাকবে, কারণ ছাত্রছাত্রীরা রিসোর্স খোঁজায় সময় নষ্ট করতে পারে। সপ্তমত, ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অভাব যেমন লাইব্রেরি বা ডিজিটাল রিসোর্স গ্রামীণ স্কুলে সমস্যা সৃষ্টি করবে। অষ্টমত, অভিভাবকরা এটিকে গুরুত্ব না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ল্যাক্স করে ফেলতে পারে। নবমত, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠবে, কারণ উত্তরগুলো সাবজেক্টিভ হবে। দশমত, এটি কম্পিটিটিভ এক্সাম যেমন জে.ই.ই বা নিট-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।

মিডিয়া প্রতিক্রিয়া: বিভিন্ন আউটলেটের দৃষ্টিভঙ্গি

মিডিয়ায় এই খবর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং এন.ডি.টি.ভি এটিকে পজিটিভ বলে বর্ণনা করেছে, যখন কিছু রিপোর্ট চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া রিপোর্ট করেছে যে এটি হায়ার-অর্ডার থিঙ্কিং স্কিল পরীক্ষা করবে।

অন্যান্য মিডিয়া যেমন মানি কন্ট্রোল এবং ডেকান হেরাল্ড এটিকে এন.ই.পি-র সাথে যুক্ত করে দেখেছে, কিন্তু চ্যালেঞ্জ যেমন ডিজিটাল ডিভাইড তুলে ধরেছে। মিডিয়া সাধারণত এটিকে প্রগতিশীল বলে মনে করে, কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশনের উপর জোর দিয়েছে।

এক্সপার্টদের মতামত: শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিকোণ

এক্সপার্টরা মনে করেন যে এটি ভালো, কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন কেয়ারফুল হওয়া দরকার। ডেলহি ইউনিভার্সিটির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার, যেখানে কোভিডে ওপেন বুক চালু হয়েছিল। শিক্ষাবিদরা বলছেন যে এটি লার্নিংকে রিয়েল-ওয়ার্ল্ড অ্যাপ্লাইড করবে।

পুনম কোচিটির মতো প্রিন্সিপালরা বলছেন যে এখানে প্রশ্নের কোয়ালিটি গুরুত্বপূর্ণ। এক্সপার্টরা চ্যালেঞ্জ যেমন অসমতা এবং প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া: এক্স-এর পোস্টগুলো বিশ্লেষণ

সোশ্যাল মিডিয়ায় (এক্স-এ) ২০ পোস্টের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পজিটিভ, যেমন ইন্ডিয়ান টেক অ্যান্ড ইনফ্রা-র পোস্ট যা বলে যে এটি ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং বুস্ট করবে এবং স্ট্রেস কমাবে।

কিছু পোস্ট নেগেটিভ, যেমন মোহিত গাহলাউটের পোস্ট যা বলে যে এটি ফাইনাল এক্সাম নয়, শুধু অ্যাসেসমেন্ট। অনেকে এটিকে এন.ই.পি-র সাথে যুক্ত করে পজিটিভ দেখেছে।

আন্তর্জাতিক কম্প্যারিসন: বিশ্বের অন্যান্য দেশে ওপেন বুক

বিশ্বের অনেক দেশে ওপেন বুক পরীক্ষা চালু আছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল স্টুডেন্টদের মধ্যে অধ্যয়ন দেখিয়েছে যে এটি স্ট্রেস কমায়। ইউরোপে এটি হায়ার এডুকেশনে সাধারণ। ভারতের সাথে তুলনা করলে, এটি আমাদের শিক্ষাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে যাবে।

কেরালা এবং অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যে পাইলট চালু হয়েছে, যা দেখায় যে ভারত আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড অনুসরণ করছে।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: সফলতার চাবিকাঠি

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ছাড়া এটি সফল হবে না। সি.বি.এস.ই ওয়ার্কশপ এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালাবে যাতে শিক্ষকরা প্রশ্ন ডিজাইন এবং মূল্যায়ন শিখতে পারেন। পাইলটে শিক্ষকরা ইতিবাচক ছিলেন, কিন্তু আরও প্রশিক্ষণ দরকার।

এটি শিক্ষকদের ভূমিকা পরিবর্তন করবে, তারা ফ্যাসিলিটেটর হয়ে উঠবে।

অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি: চিন্তা এবং সমর্থন

অভিভাবকরা মিশ্র মতামত দিয়েছেন। কিছু মনে করেন এটি ছাত্রছাত্রীদের ল্যাক্স করে ফেলবে, অন্যরা স্ট্রেস কমানোর জন্য সমর্থন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা হয়েছে যে অভিভাবকদের অবহিত করা দরকার।

অভিভাবকদের সাথে ওয়ার্কশপ করে সি.বি.এস.ই এটি সমাধান করতে পারে।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিপস: কীভাবে প্রস্তুত হবেন

ছাত্রছাত্রীদের রিসোর্স নেভিগেশন এবং অ্যানালিসিস স্কিল বাড়াতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্ট অনুশীলন করতে হবে এবং কনসেপ্ট বুঝতে হবে। স্যাম্পল পেপার অনুশীলন করে প্রস্তুত হতে হবে।

এটি ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীন লার্নার করে তুলবে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: অন্যান্য ক্লাসে প্রসারণ এবং প্রভাব

সিবিএসই-র মতে, এটি ক্লাস ৯ থেকে শুরু হলেও ভবিষ্যতে ক্লাস ১০-১২-এ প্রসারিত হতে পারে। শিক্ষা বিভাগ এটিকে এন.ই.পি-র অংশ হিসেবে দেখছে। তবে চ্যালেঞ্জগুলো অ্যাড্রেস না করলে এটি ফেল হতে পারে। ভবিষ্যতে ডিজিটাল ওপেন বুক চালু হতে পারে।

উপসংহার: ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুপারিশ

সারাংশে, সিবিএসই-র ওপেন বুক পরীক্ষা একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপ, যা রোট লার্নিং কমিয়ে ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং প্রমোট করবে। সুবিধাগুলো যেমন স্ট্রেস রিডাকশন, প্র্যাকটিক্যাল স্কিল এবং গ্লোবাল অ্যালাইনমেন্ট, তেমনি অসুবিধাগুলো যেমন মেমরি দুর্বলতা, অসমতা এবং ইমপ্লিমেন্টেশন চ্যালেঞ্জ। প্রতিক্রিয়াগুলো মিশ্র, কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ এবং গাইডলাইনের সাথে এটি ভারতীয় শিক্ষাকে উন্নত করতে পারে। শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের এতে অভ্যস্ত হতে হবে। এটি এনইপি-র লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে, কিন্তু ক্রমাগত মনিটরিং এবং ফিডব্যাক দরকার। ভবিষ্যতে এটি শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে, যদি সবাই মিলে এটিকে সফল করে তোলা যায়।

Leave a Comment