সুপ্রিম কোর্টের Mandatory TET for In-Service Teachers 2025 রায়: শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্যগুলোর দ্বিধা, ওডিশায় পরীক্ষা বাতিলের ঝড়

Our WhatsApp Group Join Now

Mandatory TET for In-Service Teachers 2025: শিক্ষকরা ক্লাসরুমে শিশুদের মনে জ্ঞানের বীজ বপন করছেন, তখন হঠাৎ একটি আদালতের রায় তাদের নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এটাই হলো সেই ঝড়, যা ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের রায় দিয়ে শুরু হয়েছে। “Supreme Court ruling on mandatory TET certificate for all in-service primary and upper primary teachers in India 2025” – এই খবরটি আজকাল শিক্ষক সম্প্রদায়ের মুখে মুখে ঘুরছে।

রায়টি স্পষ্ট: প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে (ক্লাস ১ থেকে ৮) কর্মরত সকল শিক্ষকদের জন্য Teacher Eligibility Test (TET) সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। যারা এটি পাস করতে পারবেন না, তাদের চাকরি, প্রমোশন, এমনকি পেনশনের পথও বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হয়েছে – অর্থাৎ ২০২৭-এর মধ্যে পাস করতে হবে। এই রায়ের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে: কোথাও রিভিউ পিটিশনের পথে হাঁটা, কোথাও বিশেষ TET-এর ব্যবস্থা, আবার কোথাও নীরবতা। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যা লক্ষাধিক শিক্ষককে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

এই রায়ের প্রভাব কতটা বিস্তৃত, তা বোঝার জন্য একটি সংখ্যা দেখুন: ভারতে প্রায় ১ কোটি শিক্ষক কর্মরত আছেন প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে। এদের মধ্যে অনেকেই ২০০০-এর দশক থেকে চাকরিতে আছেন, যখন TET-এর কোনো ধারণাই ছিল না। “প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য TET বাধ্যতামূলকতার সুপ্রিম কোর্ট রায় ২০২৫” – এই বাংলা লং-টেল কীওয়ার্ডটি গুগল সার্চে ছুটে চলেছে শিক্ষকদের মধ্যে। কিন্তু এই রায় কেন এলো? এর পটভূমি খুঁজে দেখলে বোঝা যায়, এটি শুধু একটি পরীক্ষার ব্যাপার নয়, বরং শিক্ষার মান উন্নয়নের একটা বড় লড়াই। RTE আইন (Right to Education Act, ২০০৯) থেকে শুরু করে NCTE (National Council for Teacher Education)-এর নির্দেশ – সবকিছুরই একটা চেইন রয়েছে। কিন্তু রাজ্যগুলোর নিজস্ব নিয়ম-কানুন এই চেইনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়টি সেই ছিন্নভিন্ন সেতুবন্ধনের চেষ্টা।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাইমারি টেট এর জন্য শিক্ষণ ও মনোবিজ্ঞান সংক্রান্ত গাইড এর জন্য নিচে ক্লিক করুন! 
👇👇👇👇👇

WB Primary TET প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর: শিক্ষণ ও মনোবিজ্ঞান সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গাইড

রায়ের পটভূমি: এক দশকের লড়াইয়ের ফল

সময়কারণে ফিরে যান ২০১১-এ। তখন NCTE TET-কে বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু অনেক রাজ্যে এটি শুধু নতুন নিয়োগের জন্য প্রযোজ্য হয়, কর্মরতদের জন্য নয়। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ – এমন অনেক রাজ্যে শিক্ষকরা TET ছাড়াই চাকরি করে যাচ্ছিলেন। এর ফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। বিভিন্ন PIL (Public Interest Litigation) দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। অবশেষে, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ আসে এই ল্যান্ডমার্ক রায়। বিচারপতি দত্তের বেঞ্চ বলেছেন, “TET is not just a formality; it’s a benchmark for quality education.” রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ, যারা ৫ বছরের কম সময় বাকি রেখে রিটায়ার করবেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে। বাকিরা দুই বছরের মধ্যে পাস করতে হবে, না হলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি। এই “mandatory TET for in-service upper primary teachers promotion eligibility 2025” কীওয়ার্ডটি শিক্ষক ফোরামে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

কিন্তু রায়ের পর রাজ্যগুলোর প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ মেনে নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে, কেউ আইনি লড়াইয়ে নামছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেইসব রাজ্যের গভীরে ঢুকব – পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওডিশা, ঝাড়খণ্ড থেকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো। এছাড়া, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত গল্প, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করব। কারণ, এই ইস্যু শুধু পরীক্ষার নয়, একটা প্রজন্মের শিক্ষার ভবিষ্যতের।

পশ্চিমবঙ্গ: নীরবতার মাঝে উদ্বেগের ছায়া

পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদ (WBBPE) এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “আমরা নিয়ম-কানুন খতিয়ে দেখছি। রিভিউ পিটিশন যাব কি না, সেটা পরে ঠিক হবে।” কিন্তু এই অপেক্ষা শিক্ষকদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। রাজ্যে প্রায় ৫ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক আছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। “পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য TET সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকতার সরকারি সিদ্ধান্ত ২০২৫” – এই কীওয়ার্ডটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রেন্ড করছে।

একটি উদাহরণ নিন: হাওড়ার একটি স্কুলের শিক্ষিকা রেখা দাস (নাম পরিবর্তিত), যিনি ১৯৯৫ সাল থেকে চাকরিতে। তিনি বলেন, “আমি হাজারো শিশুকে পড়িয়েছি, কিন্তু এখন একটা পরীক্ষা আমার চাকরি নেবে? এটা অন্যায়।” রাজ্য সরকার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি দিয়েছে – পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কত শিক্ষক TET ছাড়াই আছেন, তা জানতে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেই। বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুধাংশু ত্রিপাঠিকে (যিনি ওডিশা থেকে নির্বাচিত) স্মারকমণ্ডল দিয়েছে দ্রুত সমাধানের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রও নীরব।

সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন রিভিউ পিটিশন দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার্ড ডেটা অনুসারে, এখনও দুটি রিভিউ পিটিশন দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে একটি সম্ভবত বাংলার প্রভাবিত। কিন্তু অফিসিয়ালি কোনো নিশ্চিতকরণ নেই। এই অস্পষ্টতা শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ছড়াচ্ছে। একটা সার্ভে অনুসারে (যা শিক্ষক ইউনিয়ন করেছে), ৭০% শিক্ষক বলছেন, তারা TET-এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন না যতক্ষণ না রাজ্যের স্পষ্ট নির্দেশ আসে। এই “West Bengal in-service teachers facing uncertainty due to Supreme Court TET mandate 2025” কীওয়ার্ডটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা ফোরামেও আলোচিত হচ্ছে।

ওডিশা: বিশেষ TET-এর আশা, কিন্তু পেপার লিকের ধাক্কা

ওডিশা একটা ভিন্ন পথ নিয়েছে। এখানে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য “Special Odisha Teachers Eligibility Test (SOTET)”-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। Odisha Board of Secondary Education (BSE) বছরে তিনবার এই পরীক্ষা নেবে। BSE-এর চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত তরাই বলেছেন, “এটি শিক্ষকদের মান যাচাইয়ের জন্য।” প্রায় ৭৫,০০০ শিক্ষক এতে অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্টার করেছিলেন। “ওডিশায় কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ SOTET পরীক্ষা ২০২৫” – এই খবরটি স্থানীয় খবরে প্রচারিত হয়েছে।

কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা হঠাৎ বাতিল! কারণ? প্রশ্নপত্র লিকের অভিযোগ। অ্যাডমিট কার্ড ১৭ সেপ্টেম্বর বেরিয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে বাতিল ঘোষণা। এতে শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত। একজন শিক্ষক বলেন, “আমরা মাসখানেক প্রস্তুতি নিয়েছি, এখন আবার অপেক্ষা?” BSE জানিয়েছে, নতুন তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা হবে। কিন্তু এই ঘটনা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রভাবকে আরও জটিল করে তুলেছে। ওডিশার শিক্ষামন্ত্রী (যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও) এই ইস্যুতে সংসদে কথা বলেছেন, কিন্তু কোনো সমাধান এখনও নেই। এই “Odisha Special OTET exam cancellation due to paper leak September 2025” খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ওডিশার এই মডেল অনেক রাজ্যের জন্য অনুকরণীয়। কারণ, এখানে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে সম্মান দেওয়া হয়েছে – SOTET-এ তাদের অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। কিন্তু লিকের ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরেছে।

ঝাড়খণ্ড: বছরে দু’বার TET, কিন্তু সিলেবাসের জটিলতা

ঝাড়খণ্ড সরকার বছরে দু’বার TET নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Jharkhand Academic Council (JAC) এই ব্যবস্থা করেছে কর্মরত শিক্ষকদের সুবিধার জন্য। কিন্তু ২০২৫-এর JTET বাতিল হয়েছে সিলেবাসের ত্রুটির কারণে। নতুন নোটিফিকেশন শীঘ্রই আসবে, বলে JAC-এর অফিসিয়াল সাইটে জানানো হয়েছে। “ঝাড়খণ্ডে শিক্ষকদের জন্য বার্ষিক দু’বার JTET পরীক্ষা ২০২৫” – এই সংবাদটিও আঞ্চলিক সংবাদে প্রচারিত।

ঝাড়খণ্ডের শিক্ষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। একদিকে সুবিধা, অন্যদিকে প্রস্তুতির চাপ। একজন রাঁচির শিক্ষক বলেন, “আমরা গ্রামে থেকে শহরে এসে পরীক্ষা দিতে হবে, এটা কঠিন।” সরকার জানিয়েছে, অনলাইন মডেল টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু বাতিলের ঘটনা পরিকল্পনার দুর্বলতা দেখিয়েছে। এই “Jharkhand TET exam twice a year for in-service teachers challenges 2025” খবরটিও শিক্ষক গ্রুপে আলোচিত।

দক্ষিণ ও উত্তর ভারত: আইনি লড়াইয়ের ময়দান

দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ু এবং কেরালা আইনি পথ ধরেছে। তামিলনাড়ুর শিক্ষকরা “Joint Action Council for Protection of Tamil Nadu Teachers (JACPTT)” গঠন করে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্টে। শিক্ষামন্ত্রী অনবিল মাহেশ পোয়্যামোজি বলেছেন, “আমরা জিতব।” ২৫ সেপ্টেম্বর এআইপিএসটিএফ-এর কনটিক শাখা প্রবীণ আইনজীবী বিক্রম হেগড়ের মাধ্যমে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। “তামিলনাড়ুতে সুপ্রিম কোর্টের TET রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন ২০২৫” – এই সংবাদটিও তামিল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং।

কেরালায়ও একই। K-TET-এর রায় নিয়ে সরকার রিভিউ পিটিশনের চিন্তা করছে। শিক্ষক জব সিকিউরিটির জন্য এটি জরুরি। উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ১৭ সেপ্টেম্বর রিভিউ পিটিশনের নির্দেশ দেন। আদালত কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করেছে, যা ৩ নভেম্বরের মধ্যে সংশোধন করতে হবে। UP Basic Education Board-এর সেক্রেটারি সুরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি RTI-তে এটি নিশ্চিত করেছেন। United Teachers Associationও পিটিশন দায়ের করেছে। “উত্তরপ্রদেশে TET রায়ের বিরুদ্ধে সরকারি রিভিউ পিটিশনের অগ্রগতি ২০২৫” – এই খবরটি হিন্দি সংবাদে প্রচারিত।

অন্যান্য রাজ্য: তেলেঙ্গানা সরকার রিভিউ পিটিশন ফাইল করবে। কর্ণাটকের শিক্ষকরা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। মহারাষ্ট্রে বোম্বে হাইকোর্ট বলেছে, ২০১৯-২০২৫-এর মধ্যে TET পাসকারী শিক্ষকরা চাকরি ধরে রাখতে পারবেন। এই “multiple states review petitions against Supreme Court TET mandatory order for teachers India September 2025” এই খবরটি ন্যাশনাল লিগ্যাল নিউজে হট।

শিক্ষকদের চ্যালেঞ্জ: ব্যক্তিগত গল্প এবং তথ্য

এই রায়ের সবচেয়ে বড় শিকার হলেন তারা, যারা দশকের পর দশক শিক্ষাদান করেছেন। নর্থ ইস্টের একটা গ্রামের শিক্ষক রামলাল (নাম পরিবর্তিত) বলেন, “আমার বয়স ৫৮, পরীক্ষার চাপ সহ্য করব কীভাবে?” একটা জাতীয় সার্ভে (NCTE-এর) অনুসারে, ৪০% শিক্ষকের বয়স ৫০-এর ওপর। তাদের জন্য প্রস্তুতি কঠিন। মহিলা শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে এটা আরও জটিল – পরিবারের দায়িত্ব, ভ্রমণের ঝামেলা। “in-service female teachers challenges with mandatory TET exam preparation in rural India 2025” – এই খবরটি উইমেন্স রাইটস ফোরামে আলোচিত।

অন্যদিকে, যুবক শিক্ষকরা বলছেন, এটা মান উন্নয়নের সুযোগ। কিন্তু সবাই একমত নয়। শিক্ষক ট্রেনিংয়ের অভাবও একটা সমস্যা। অনেক রাজ্যে কোচিং সেন্টার বসছে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে সেটা পৌঁছাচ্ছে না। “গ্রামীণ শিক্ষকদের জন্য TET প্রস্তুতির বাধা ও সমাধান ২০২৫” – এই বাংলা খবরটি রুরাল এডুকেশন ব্লগে প্রচলিত।

আইনি যুদ্ধের অগ্রগতি: রিভিউ পিটিশনের ভবিষ্যৎ

সুপ্রিম কোর্টে এখনও ১০-এর বেশি রিভিউ পিটিশন পেন্ডিং। UP-এরটা ১৬ সেপ্টেম্বরে হিয়ারিং হয়েছে, কিন্তু ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ। তামিলনাড়ুরটা প্রখ্যাত আইনজীবী হেগড়ের হাতে। কেরালা এবং তেলেঙ্গানা শীঘ্রই যোগ দেবে। বিচারপতিরা বলেছেন, “রিভিউ শুধু ত্রুটির জন্য, না হলে রায় অটুট থাকবে।” এই “review petitions status on Supreme Court TET judgment for states in India October 2025” এই খবরটি লিগ্যাল ট্র্যাকার অ্যাপে সার্চ হচ্ছে।

যদি রিভিউ খারিজ হয়, তাহলে রাজ্যগুলোকে বিশেষ TET-এর দিকে ঝুঁকতে হবে। কিন্তু ওডিশার লিক ঘটনা সতর্কবার্তা।

ভবিষ্যতের দৃশ্যপট: শিক্ষার মান বনাম শিক্ষকদের অধিকার

এই রায় শিক্ষার মান তোলে, কিন্তু খরচ কার? সরকারকে ট্রেনিং সেন্টার বাড়াতে হবে, অনলাইন মডিউল তৈরি করতে হবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, “এটা RTE-এর স্পিরিট।” কিন্তু শিক্ষক ইউনিয়নরা বলছেন, অভিজ্ঞতাকে অস্বীকার করা যায় না। সম্ভাবনা: একটা ন্যাশনাল ফ্রেমওয়ার্ক, যাতে রাজ্যগুলো নিজস্বভাবে TET অ্যাডাপ্ট করতে পারে।

উপসংহার: সময়ের দাবি

সুপ্রিম কোর্টের TET রায় একটা টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু এর সফলতা নির্ভর করবে রাজ্যগুলোর সংবেদনশীলতার উপর। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলোকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে – রিভিউ না বিশেষ TET। শিক্ষকরা চান ন্যায়, শিশুরা চান মানসম্পন্ন শিক্ষক। “সকল রাজ্যে TET বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান ২০২৫” –, এই লড়াই চলবে, কিন্তু জয় হোক শিক্ষার।

Leave a Comment