Class 12 Biology Notes: environment pollution, পরিবেশ দূষণ

আজকের প্রতিবেদনে Class 12 Biology Notes: environment pollution অংশে আমরা পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর নিয়ে এসেছি। যে প্রশ্নগুলি বিভিন্ন পরীক্ষাতে বিভিন্ন রকম ভাবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আসে। আসুন আজকে আমরা সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে আমাদেরকে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। চলুন শুরু করা যাক!

Whatsapp গ্রুপে যুক্ত হন
Telegram গ্রুপে যুক্ত হন
Class 12 Biology Notes environment pollution
Class 12 Biology Notes environment pollution

Class 12 Biology Notes: environment pollution

এক নজরেঃ

প্রশ্নঃ প্রাথমিক ও গৌণ বায়ুদূষকের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উঃ প্রাথমিক ও গৌণ বায়ুদূষকের মধ্যে পার্থক্য:

প্রাথমিক বায়ুদূষকগৌণ বায়ুদূষক
প্রাথমিক বায়ুদূষক হল অপরিবর্তিত ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক বা মানুষের কাজকর্মের ফলে সৃষ্ট দূষক পদার্থ।গৌণ বায়ুদূষকও প্রাথমিক দূষক পদার্থের অন্তঃক্রিয়ার ফলে বা পরিবেশের উপাদানের সঙ্গে ক্রিয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের ওপরে বায়ুমণ্ডলে সৃষ্ট দূষক পদার্থ।
প্রাথমিক বায়ুদূষকের রাসায়নিক প্রকৃতি বিভিন্ন প্রকার এবং এরা তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকারক।রাসায়নিক প্রকৃতির দিক থেকে গৌণ বায়ুদূষকগুলি জারক ও তুলনামূলকভাবে অধিক ক্ষতিকারক পদার্থ।

প্রশ্নঃ ওজোন গহ্বর কী? [WBCHSE 20]

উঃ বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে থাকা ওজোন অণুর ক্ষয়ের ফলে যে গহ্বর সৃষ্টি হয়, তাকে ওজোন গহ্বর বলে।

প্রশ্নঃ ধোঁয়াশা কীভাবে তৈরি হয়? [Howrah Jogesh Chandra Girls’ School ’17]

উঃ গাড়ির ধোঁয়া এবং কলকারখানার ধোঁয়ায় উপস্থিত CO, Оз অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ, রাসায়নিক বাষ্প ইত্যাদি কুয়াশার সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।

প্রশ্নঃ বিভিন্ন বায়ুদূষণঘটিত রোগের নাম এবং তাদের কারণ সংক্ষেপে লেখো।

উঃ বিভিন্ন বায়ুদূষণঘটিত রোগের নাম এবং তাদের কারণ:

বায়ুদূষণঘটিত রোগের নামকারণ
ব্ল‍্যাক লাংকার্বন কণা
অ্যানথ্রাকোসিসকয়লার গুঁড়ো
সিলিকোসিসসিলিকন
অ্যাজমাকার্বন কণা, রেণু, SO₂
Class 12 Biology Notes: environment pollution

এছাড়াও অ্যাসবেস্টোসিস, নিউমোকোনিওসিস, লাং ক্যানসার ইত্যাদি রোগ হয় বায়ুদূষণের জন্য।

প্রশ্নঃ যানবাহনকৃত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় উল্লেখ করো। [WBCHSE ’19]

উঃ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত দুটি আধুনিক যন্ত্র হল-ক্যাটালাইটিক কনভার্টার ও ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর।

ক্যাটালাইটিক কনভার্টার বিভিন্ন গাড়ির ইঞ্জিনের সঙ্গে লাগানো হয়। এর সাহায্যে গাড়ির ধোঁয়া থেকে দূষক পদার্থগুলিকে আলাদা করে অন্যান্য পদার্থে পরিণত করা হয়।

ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর হল বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র যার মধ্যে দূষিত বায়ু প্রবেশ করালে বায়ু থেকে ধুলো, ধোঁয়া ইত্যাদি অপসারণ করে বিশুদ্ধ বায়ু নির্গমন করানো যায়।

জল দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায়: Ways to control water pollution – এইখানে ক্লিক করুন

প্রশ্নঃ BOD (Biological Oxygen Demand) কী? [The Park Institution ’17]

যে পরিমাণ অক্সিজেন, জলে উপস্থিত জৈব উপাদানকে অণুজীব দ্বারা বিয়োজনের জন্য প্রয়োজন তাকে BOD (Biological Oxygen Demand) বলে।

প্রশ্নঃ BOD-এর গুরুত্ব কী? [Malpar Vivekananda sikshaniketan ’17]

উঃ BOD-এর মাত্রা অনুযায়ী জলের গুণমান নির্ধারিত হয়। জলে দূষণের মাত্রা জানা যায় BOD-এর মাধ্যমে। দুষিত জলে আণুবীক্ষণিক জীবের সংখ্যা বেশি হয় বলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কম হয় ফলে BOD-র মান বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্নঃ COD কাকে বলে? [Bankura Christian Collegiate School ’14]

উঃ প্রতি লিটার জলে উপস্থিত যত মিলিগ্রাম অক্সিজেন, জৈব ক্ষয়িষু নয় এইরকম রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করতে সক্ষম সেই পরিমাণ অক্সিজেনকে ওই জলের অক্সিজেন চাহিদা বা COD বলে।

প্রশ্নঃ BOD এবং COD-এর পার্থক্য লেখো।

BODCOD
BOD হল জৈব বস্তু বিয়োজনের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেনের পরিমাণ।COD হল রাসায়নিক পদার্থ জারণের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেনের পরিমাণ।
অণুজীব বিয়োজনে সহায়তা করে।রাসায়নিক জারক বস্তু জারণে সহায়তা করে।
Class 12 Biology Notes: environment pollution

প্রশ্নঃ বায়োইন্ডিকেটর কাকে বলে? [Prafullanagar Vidyamandir (HS) ’17]

উঃ একটি বায়োইন্ডিকেটর হল কোনো একটি বা একাধিক প্রজাতি যাদের ক্রিয়া, জনসংখ্যা অথবা অবস্থানের ওপর পরিবেশের গুণগত মান নির্ধারিত হয়।

উদাহরণ-সাইক্লপস, ড্যাফনিয়া প্রভৃতির উপস্থিতি জলদূষণের মাত্রা নির্দেশ করে।

প্রশ্নঃ ইউট্রোফিকেশন কী? [Dr Shyamaprasad Mukherjee Institution ’17]

উঃ জলাশয়ে কোনো রাসায়নিক পদার্থ (প্রধানত ফসফেট) মেশার ফলে জলজ উদ্ভিদে শৈবাল ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়, ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়, একে ইউট্রোফিকেশন বলে।

প্রশ্নঃ অ্যালগাল ব্লুম কী? [Howrah Vivekananda Institution ’16]

কোনো জলাশয়ে রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে শৈবালের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে তাকে, ফল স্বরূপ শৈবালের পচন ঘটে ও জল দূষিত হয়, একে অ্যালগাল ব্লুম বলা হয়।

প্রশ্নঃ জৈব বিবর্ধন কাকে বলে? উদাহরণ দাও। [WBCHSE ’18]

উঃ যে প্রক্রিয়ায় অপরিবর্তনীয় বিষাক্ত পদার্থগুলি খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে ও প্রতিটি খাদ্যস্তরে তাদের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, তাকে বায়োম্যাগনিফিকেশন বলে। উদাহরণ-DDT অত্যধিক ব্যবহার করলে জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত প্রতিটি ট্রফিক লেভেলে DDT-এর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্নঃ অ্যাগ্রোকেমিক্যালস কী?

উঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিককে (যেমন-ফার্টিলাইজার, পেস্টিসাইড, আগাছানাশক) অ্যাগ্রোকেমিক্যালস বলা হয়। অ্যাগ্রোক্যামিক্যালস মৃত্তিকাদূষণ ও জলদূষণ ঘটায়।

প্রশ্নঃ বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।

উঃ যেসকল বর্জ্য পদার্থ মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী এবং পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে, তাদের বিপজ্জনক বর্জ্য বলে।

বিপজ্জনক বর্জ্যের উদাহরণ হল-বিভিন্ন পেস্টিসাইড (কীটনাশক-DDT, BHC, ছত্রাকনাশক-কপার সালফেট ইত্যাদি); বিভিন্ন ধাতব বস্তু (সিসা, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি)।

প্রশ্নঃ বিপজ্জনক বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দুটি রোগের নাম লেখো। [Barrackpore Govt High School ’17]

উঃ বিপজ্জনক বর্জ্য থেকে সৃষ্ট দুটি রোগ হল- (i) ব্ল‍্যাক ফুট ডিজিজ যা আর্সেনিক দূষণের ফলে হয়।

(ii) ডিসলেক্সিয়া যা সীসা দূষণের ফলে হয়।

প্রশ্নঃ E-বর্জ্য বলতে কী বোঝো? [WBCHSE Sample Question ’18]

উঃ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স অব্যবহার্য বস্তুসামগ্রী অথবা ব্যবহার করা, তার ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী যখন পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হয় না এবং তাকে বিনষ্টও করা যায় না তখন তা বর্জ্য পদার্থরূপে অবস্থান করে। একে বলে ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য বা সংক্ষেপে E-Waste |

প্রশ্নঃ কঠিন বর্জ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় উল্লেখ করো। [Shambazar A V High School ’16]

উঃ কঠিন বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় হল। (i) রিসাইক্লিং-প্লাস্টিক, কাঁচ, কাগজ ইত্যাদির পুনরায় নতুনভাবে উৎপাদন করা। (ii) ডাম্পিং-মাটি, ধুলো-বালি, গৃহস্থালীর অর্ধপচনশীল পদার্থ দ্বারা নীচু জমি, গর্ত ইত্যাদি ভরাট করা হয়।

প্রশ্নঃ দুটি মিউনিসিপ্যালিটি বর্জ্যের উদাহরণ দাও।

উঃ দুটি মিউনিসিপ্যালিটি বর্জের উদাহরণ হল-

(a) ভাঙা শিশি-বোতল, চামড়াজাত দ্রব্য।

(b) আনাজের খোসা, পরিত্যক্ত খাদ্য ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ সীসা ও ক্যাডমিয়াম থেকে সৃষ্ট রোগগুলির নাম কী কী?

উঃ সীসা থেকে সৃষ্ট রোগ হল-ডিসলেক্সিয়া, ক্যাডমিয়াম দূষণের

ফলে সৃষ্ট রোগ হল-ইটাই-ইটাই।

প্রশ্নঃ তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো। [WBCHSE Sample Question ’18]

উ: (i) তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে মানুষের শরীরের ক্যানসারের সৃষ্টি, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, স্নায়ু বৈকল্য, অন্ধত্য প্রভৃতি দেখা যায়। (ii) স্ট্রনসিয়াম 90-এর প্রভাবে হাড় ও রক্তের ক্যানসার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ তেজস্ক্রিয় দূষণের দুটি প্রভাব লেখো। [Manindra Nath High school ’16]

উঃ তেজস্ক্রিয় দূষণের দুটি প্রভাব হল-

(i) ফুসফুস ও যকৃতে আলসার।

(ii) তেজস্ক্রিয় দূষণের ফলে কোশে মিউটেশন ঘটে, ফলস্বরূপ ত্বক, অস্থি ও জরায়ুতে ক্যানসার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে-কোনো দুটি পদ্ধতি উল্লেখ করো। [WBCHSE 20]

উঃ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুটি পদ্ধতি হল-

(i) সমুদ্রের গভীরে সী-বেসিনে গর্ত করে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রোথিতকরণ।

(ii) তেজস্ক্রিয় বর্জ্যসমূহের পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।

প্রশ্নঃ বিভিন্ন গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ লেখো। [Ramakrishna Mission Vidyapith, Purulia ’17)

উঃ বিভিন্ন প্রকার গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ হল-

গ্যাসের নামপরিমাণ
কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂)49%
মিথেন (CH4)18%
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)6%
ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC)14%
অন্যান্য গ্যাস13%
Class 12 Biology Notes: environment pollution

প্রশ্নঃ গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলতে কী বোঝো?

উঃ শিল্প, জীবাশ্ম জ্বালানি, আধুনিক কৃষিকাজ পদ্ধতির জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় 1.5-4.5°C বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌর বিকিরণের ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রবেশ করে একে উত্তপ্ত করে কিন্তু দীর্ঘ তরঙ্গরূপে তা পুণরায় ফিরে যাবার সময় ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের ট্রেস গ্যাস দ্বারা শোষিত ও প্রতিফলিত হয়, ফলে পৃথিবীর উয়তা বাড়ে, একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে।

প্রশ্নঃ গ্রিন হাউস প্রভাব কাকে বলে? [Bishnupur Sir Romesh Institution (HS) ’17]

উঃ গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির প্রভাবে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ বেশিমাত্রায় গলে সমুদ্রে মিশে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি করে, জলচক্রের পরিবর্তন ঘটানো ইত্যাদি ছাড়াও পরিবেশের আরও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়; গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবে পরিবেশ তথা পৃথিবীর এইসব পরিবর্তনকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলে।

প্রশ্নঃ বিশ্ব উন্নায়নের দুটি কুফল লেখো। [Harindanga High School ’17]

উ: বিশ্ব উন্নায়নের দুটি কুফল হল-

(i) CO₂, ওজোন ইত্যাদি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে আসা রশ্মিকে মহাশূন্যে বিকিরিত হতে দেয় না, ফলে ভূপৃষ্ঠের উয়তা বৃদ্ধি পায়।

(ii) বিশ্ব উল্লায়ণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে।

প্রশ্নঃ ওজোন গহ্বর সৃষ্টির দুটি কারণ উল্লেখ করো।[Burdwan Municipal High School ’14]

উঃ ওজোন গহ্বর সৃষ্টির দুটি কারণ হল-

(i) রেফ্রিজারেটার, পলিমার শিল্প ইত্যাদি থেকে নির্গত CFC ওজোন গহ্বর সৃষ্টির অন্যতম কারণ।

(ii) উড়োজাহাজ থেকে নির্গত NO ও NO₂ গ্যাসও ওজোন স্তর ক্ষয়ের অন্যতম কারণ।

প্রশ্নঃ ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের পরিনাম কী কী? [WBCHSE ’17]

উ: ওজোন স্তর অবক্ষয়ের পরিণাম হল-

(i) ওজোন স্তর অবক্ষয়ের ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অধিক পরিমাণে পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের উয়তা বৃদ্ধি করে।

(ii) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় ফলে মানুষের ত্বকের ক্যানসার হয় ও অন্যান্য প্রাণীদেরও বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্নঃ চিপকো আন্দোলন বলতে কী বোঝো? [WBCHSE ’18]

উঃ 1970 খ্রিস্টাব্দে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয় থেকে চিপকো আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হল গাছকে বাঁচানো।

প্রশ্নঃ চিপকো আন্দোলনের দুটি তাৎপর্য লেখো। [Tamluk Hamilton High School ’16]

উঃ চিপকো আন্দোলনের দুটি তাৎপর্য-

(i) চিপকো আন্দোলনের ফলে হিমালয় অঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে অরণ্য ধ্বংস বন্ধ করা গেছে।

(ii) এই আন্দোলনের মূল কথা ছিল পাঁচটি F। সেগুলি হল- Food, Fooder, Fuel, Fibre এবং Fertilizer উৎপাদনকারী উদ্ভিদ রোপন ও তার সুরক্ষা। সুতরাং এই আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে মাটি, জল ও বিশুদ্ধ বায়ু পাওয়া সুনিশ্চিত হয়েছে।

প্রশ্নঃ DSGM কোথায় গড়ে উঠেছিল? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? [Barasat MGM High School ’17]

উ: DSGM উত্তরপ্রদেশে গড়ে উঠেছিল।

DSGM এর উদ্দেশ্য-উত্তরপ্রদেশে গাছের গুঁড়ি কাটা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করা।

প্রশ্নঃ সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন বলতে কী বোঝো? [WBCHSE ’16]

উঃ উত্তর কেরলের পালাক্কাড জেলায় অবস্থিত সাইলেন্ট ভ্যালি অঞ্চল হল প্রায় 1100 প্রজাতির উদ্ভিদ ও মেছোবিড়াল, মাউস-ডিয়ার, সিংহ, পুচ্ছ কেশরীবানর প্রভৃতি বিরল প্রাণীর বাসস্থান। কেরালা রাজ্যে বিদ্যুৎ পর্ষদের নির্দেশে রাজ্যের বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র 7% পাওয়ার লক্ষে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন জৈববৈচিত্র্যের ধ্বংসের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে ওঠে তাকে সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন বলে।

প্রশ্নঃ অমৃতাদেবী বিশনয় আন্দোলন কী? [Jagadbandhu Institution ’14]

উঃ বৃক্ষ ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করার জন্য রাজস্থানের যোধপুর শহরের দক্ষিণে খেজারলি গ্রামে 1730 খ্রিসাব্দে অমৃতা দেবীর নেতৃত্বে তার তিন কন্যাসহ 363 জন বিশনয় সম্প্রদায়ের মানুষ গাছ কাটার প্রতিবাদ করে যে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে তোলে তাকে অমৃতাদেবী বিশনয় আন্দোলন বলে।

Leave a Comment