নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf: Download Netaji Subhash Chandra Bose Biography 2023

Netaji Subhash Chandra Bose Biography
Netaji Subhash Chandra Bose Biography

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf (Netaji Subhash Chandra Bose Biography): রবীন্দ্রনাথের যিনি দেশনায়ক, তিনি অগণিত জনের নেতাজি। তাঁকে নিয়ে মিথ, তাঁকে নিয়ে গর্ব, স্পর্ধার প্রকাশ। বঙ্গীয় তথা ভারতীয় ইতিহাসে নিঃসন্দেহেই এক ধূমকেতুসম ব্যক্তিত্ব সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি স্বতন্ত্র, অননুকরণীয়। তাঁর সম্পর্কে কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়। তাঁর জীবন এবং কর্ম আজও, এত বছর পরেও আমাদের উদ্দীপ্ত করে, প্রাণিত করে। তিনি যে সমাজদর্শনের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন, তার অতি সামান্যই বা হয়তো কতিপয় বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় গৃহীত হয়েছে, কিন্তু তাঁর দেশপ্রেমের নিদর্শনের কোনো দ্বিতীয় নজির মেলেনি। তা মেলা কার্যত দুষ্কর। এমন অসামান্য হৃদয় এবং সে হৃদয় জুড়ে দেশমাতৃকা ব্যতীত কারও অধিষ্ঠান না-থাকা, এ এক পরম বিস্ময় বইকি।

Whatsapp গ্রুপে যুক্ত হন
Telegram গ্রুপে যুক্ত হন

তাঁর সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলা বা ভাবার আগে আমরা মোহিত হই তাঁর এই প্রেমিক সত্তার দিকে তাকিয়ে। দেশপ্রেম এবং তার জন্যে সমস্ত কিছু ত্যাগ, এ বড়ো কম কথা নয়। ভারতবর্ষ কৃতী ত্যাগী সন্তানের পীঠভূমি। বহু দেশপ্রেমিক আত্মত্যাগীদের জন্ম এদেশের মাটিতে কিন্তু তবু সুভাষচন্দ্রের নামে আজও সারা দেশে যে আবেগ, তার নেপথ্যে মনে হয় থেকে গেছে তাঁর সেই অতুলনীয় এবং অননুকরণীয় দেশভক্তি। যা তাঁকে আরও বহুজনের কাছ থেকে করে তুলেছে স্বতন্ত্র। তাঁর শৌর্যবীর্য, তাঁর বীরত্ব, তাঁর অসমসাহসিকতা তাই আজ কিংবদন্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ক-জন রাষ্ট্রনেতার পক্ষে এমনটা হয়েছে অন্তত ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে, তা বলা কঠিন। এমন এক মহামানব, তাঁর জন্মের ১২৫ বছর পরেও সমভাবে বিস্ময়কর নব নব প্রজন্মের কাছে।

Netaji Subhash Chandra Bose Biography সম্পূর্ণ জানতে নিচের pdf ফাইল টি ডাউনলোড করুন ⬇

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf Download

Netaji Subhash Chandra Bose Biography

জন্ম ও বংশ পরিচয় :

২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ সাল। ওড়িশার মহানদী-সংলগ্ন কটক শহর। ভূমিষ্ঠ হলেন পরাধীন ভারত-জননীর এক রাজদ্রোহী অগ্নি-শিশু। শঙ্খধ্বনিতে হল নবজাতকের শুভ আবির্ভাব-বন্দনা। ভারতের মাটিতে জন্ম নিল এক মহাবিদ্রোহ। সুভাষচন্দ্ৰ তাঁর নাম। পিতা জানকীনাথ বসু, কটকের প্রখ্যাত সরকারি ধনী উকিল। মাতা প্রভাবতী দেবী। আদি নিবাস ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের সন্নিকটস্থ কোদালিয়া গ্রাম।

শিক্ষাজীবন :

কটকের এক মিশনারি স্কুলে সুভাষচন্দ্রের শিক্ষাজীবনের সূত্রপাত। পরে এলেন কলকাতায়। প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হলেন। ১৯১৫ সাল। আই এ পরীক্ষা পাস করলেন। দর্শনশাস্ত্রে অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজেই ভরতি হলেন। অন্তরে জ্বলন্ত দেশাত্মবোধ। অধ্যাপক ওটেনের ভারত-বিরোধী অশালীন উক্তির প্রতিবাদ করলেন তীব্রভাবে। পরিণামে কলেজ থেকে হলেন বহিষ্কৃত। পরে বাংলার আর এক কৃতী সন্তান শিক্ষাবিদ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় সুভাষচন্দ্র স্কটিশ চার্চ কলেজে ভরতি হলেন। দর্শনশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে বি এ পাস করলেন। ১৯১৯ সাল। আই সি এস পরীক্ষার জন্যে তিনি ইংল্যান্ড যাত্রা করলেন।

দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ :

১৯২০ সাল। আই সি এস পরীক্ষায় সুভাষচন্দ্র চতুর্থ স্থান অধিকার করলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রাইপোজ নিয়ে বি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। ফিরে এলেন স্বদেশে। সরকারি চাকরির নানা প্রলোভন। ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করলেন। নিজেকে উৎসর্গ করলেন দেশের কাজে। দেশবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধারূপে তিনি হলেন দেশের মুক্তিযুদ্ধের অদম্য সৈনিক।

নামসুভাষচন্দ্র বসু
জন্ম তারিখ23 জানুয়ারি, 1897
জন্ম স্থানকটক, ওড়িশা, ব্রিটিশ ভারত
পরিচিতিভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মাথা হিসেবে পরিচিত

কর্মজীবন :

সুভাষচন্দ্রের কর্মজীবন নানা ঘটনার তরঙ্গমালায় পরিপূর্ণ। শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রেই নয়, জাতির গঠনমূলক কাজেও তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। দেশবন্ধুর নির্দেশে তিনি হলেন জাতীয় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। দায়িত্ব নিলেন কলকাতা পৌর নিগমের মুখ্য কার্যনির্বাহক পদের। পরবর্তী পর্বে হলেন তার প্রধান কর্মকর্তা। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করলেন। ১৯২১ সালের ১০ ডিসেম্বর। বরেণ্য নেতাদের সঙ্গে তিনি কারারুদ্ধ হলেন। ১৯২২-এ উত্তরবঙ্গের ভয়ংকরী বন্যায় তিনি ছুটে গেলেন আর্তের সেবায়। দেশবন্ধুর ‘স্বরাজ্য দল’ গঠনের তিনি নিরলস কর্মী। দেশবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকার তিনি প্রচারসচিব। স্বাধীন মনোভাবের তিনি নির্ভীক প্রচারক। বাংলার বিপ্লবীদের সঙ্গে ছিল তাঁর গোপন যোগাযোগ।

তাঁর ওপর ইংরেজের রোষ-দৃষ্টি। পরিণামে কারাবরণ। দীর্ঘদিন বিনা বিচারে ব্রহ্মদেশের মান্দালয় জেলে হলেন নির্বাসিত। ১৯২০ থেকে ১৯২৯ সাল। সুভাষচন্দ্র তখন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ১৯২৯ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ১৯৩০-এ আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও কারাবরণ করলেন সুভাষচন্দ্র। সরকারি অন্যায়ের প্রতিবাদে অনশনব্রত পালন করলেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। ১৯৩২-এ আবার রাজবন্দী হলেন। স্বাধীন অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত উন্নতশির এই রাজদ্রোহী নায়কের জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে ইংরেজের কারাগারের অন্ধকারে।

⏩Netaji Subhash Chandra Bose Biography সম্পূর্ণ জানতে নিচের pdf ফাইল টি ডাউনলোড করুন ⬇

Netaji Subhash Chandra Bose Biography pdf Download

কংগ্রেসের সভাপতি ও কংগ্রেস ত্যাগ :

দীর্ঘ কারাবাসে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটল। এমনকি জীবন সংশয়ের আশঙ্কা দেখা দিল। উদবিগ্ন হলেন আত্মীয়-পরিজন, দেশের মানুষ। চিকিৎসার জন্যে ইউরোপ চলে যাওয়ার শর্তে ১৯৩৩-এর ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি মুক্তি পেলেন। ১১ মার্চ ভিয়েনায় ডা. ফুর্থ-এর স্বাস্থ্য নিবাসে ভরতি হলেন। পাঠানো হল সুইজারল্যান্ডে। সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন ভিয়েনায়। তখন কেন্দ্রীয় আইনসভার অধ্যক্ষ বিঠলভাই প্যাটেলও চিকিৎসার জন্যে ভিয়েনায় উপস্থিত। তাঁর সঙ্গে সুভাষচন্দ্রের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হল। ভারতে নতুন করে যে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সুভাষচন্দ্র ক্ষুব্ধ হলেন। পরে আবার ফিরে গেলেন ইউরোপে। ১৯৩৬-এর এপ্রিলে ফের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন। সঙ্গে সঙ্গে কারারুদ্ধ হলেন। ১৯৩৭-এ চিকিৎসার জন্যে আবার ইউরোপ যাত্রা। ১৯৩৮-এ হরিপুরা কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হলেন। তখন তিনি লন্ডনে। পরের বৎসর ত্রিপুরী কংগ্রেস অধিবেশন। সেখানেও গান্ধিজি প্রমুখ নেতার বিরোধিতা সত্ত্বেও তিনি সভাপতি মনোনীত হলেন। মতবিরোধ হওয়ায় তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করলেন। গড়লেন ফরওয়ার্ড ব্লক।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

নিরুদ্দেশ ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক :

পশ্চিম দিগন্তে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালো ছায়া। সুভাষচন্দ্র পূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। ১৯৪০-এ বন্দি হলেন। আমরণ অনশনের ঘোষণা করে শুরু করলেন অনশন। ইংরেজ সরকার তাঁকে মুক্তি দিলেন। স্বাস্থ্যের অবনতির জন্যে তিনি স্ব-গৃহেই হলেন অন্তরীণ। গ্রহণ করলেন ‘নির্জন বাস’। ১৯৪১-এর ১৬ জানুয়ারি। তিনি নিরুদ্দেশ হলেন। জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে ‘হজযাত্রী’ হয়ে মুক্তিপথের পথিক এগিয়ে চললেন ব্রিটিশ সামরিক চক্রব্যূহকে ছিন্নভিন্ন করে। প্রথমে কাবুল। পরে রাশিয়া, বার্লিন, জাপান, সিঙ্গাপুর। ১৯৪১-এর ডিসেম্বরে গোপনে ‘আজাদ হিন্দ বেতারকেন্দ্র’ চালু হল। গড়ে উঠল ‘আজাদ হিন্দ সংঘ’। ১৯৪৩ সালের ১০ জুন সুভাষচন্দ্র টোকিওতে পৌঁছোলেন। ২৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’-এর তিনি সর্বাধিনায়ক হলেন। হলেন সকলের প্রিয় নেতাজি।

নেতাজির আহ্বান ও যুদ্ধ ঘোষণা :

সিঙ্গাপুরে গঠিত হল আজাদ হিন্দ সরকার। দুর্বার প্রাণশক্তি, অমিত তেজ নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ ও আমেরিকান সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে। ১৯৪৪-এর ৪ ফেব্রুয়ারি রেঙ্গুন থেকে শুরু হল আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযান। তিনি আবেগ-উষু কণ্ঠে বললেন, “ওই নদীর ওপারে অরণ্য পর্বত শেষে আমাদের চিরবাঞ্ছিত দেশ, আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। শোন, ভারতবর্ষ আমাদের ডাকছে। ভারতের রাজধানী, দিল্লি আমাদের ডাকছে, আত্মীয় ডাকছে আত্মীয়কে। ওঠ, আর সময় নেই। অস্ত্র ধর। আমরা শত্রু সৈন্যদের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব অথবা ঈশ্বরের যদি ইচ্ছা হয় তাহলে আমরা শহীদের মৃত্যুবরণ করব। দিল্লির পথ স্বাধীনতার পথ। চলো দিল্লি।” ভারতের মাটি স্পর্শ করল আজাদ হিন্দ বাহিনী।

ভারতের মাটিতে উঠল প্রথম জাতীয় পতাকা। তার পরের ইতিহাস বেদনার ইতিহাস। অশ্রুসিক্ত কাহিনি। ইংরেজ ব্রহ্মদেশ অধিকার করল। জাপান আত্মসমর্পণ করেছে। প্রকৃতির প্রতিকূলতা । পরাজয় এসে তাঁর স্বপ্ন কেড়ে নিল। অশুনয়নে ভারত জননীকে শেষবারের মতো তিনি প্রণাম জানালেন। তারপর নতুন পথের সন্ধানে জাপানি বিমানে তিনি যাত্রা করলেন। আজও সে চলার শেষ হল না। প্রচারিত হল, যাত্রাপথে তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় এই মহাবিপ্লবীর মৃত্যুসংবাদ। কিন্তু স্বদেশবাসী আজও এই মরণজয়ী বীরের মৃত্যু বিশ্বাস করে না। তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি অমর।

উপসংহার :

এ কথা ঠিক, তিনি ছিলেন এমন একজন যিনি তাঁর বর্তমান সময়ের চেয়েও ছিলেন বহু যোজন এগিয়ে। তাই সেদিন তাঁর মত ও পথের শরিক হতে পারেননি অনেকে। সেকথা তিনি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন সেদিনই। কিন্তু প্রবীণ এবং সমবয়সিদের প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায় এই মতান্তরে, তাই তিনি তাকে শুধু মতের অন্তর রূপে মেনে নিয়েছিলেন, কোথাও মনান্তর হতে দেননি। পরবর্তী সময়ে বিদেশে তাঁর কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে একথা বারেবারে প্রমাণিত হয়েছে। সেদিন বরং তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল তরুণদের নিয়ে। অল্পবয়সিদের নিয়ে তাঁর মনে গভীর চিন্তার নানা সূত্র মেলে তাঁর রচনা বক্তৃতায়। তিনি জোর দিতেন চরিত্রগঠনের ওপর। তাঁর মতে, এটিই মানুষ হবার প্রাথমিক শর্ত। সে শর্ত পালনে তিনি যুবাদের বদ্ধপরিকর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর চিঠিপত্র পড়লে এ কথার বারেবারে প্রমাণ মেলে।

⏩Netaji Subhash Chandra Bose Biography সম্পূর্ণ জানতে নিচের pdf ফাইল টি ডাউনলোড করুন ⬇

Netaji Subhash Chandra Bose Biography pdf Download

তিনি ছিলেন যুক্তিবাদী এবং কর্মনিষ্ঠ। তাই তাঁর আদর্শের প্রতিও তিনি ছিলেন অবিচল। কোনো বিরুদ্ধতা তাঁকে টলাতে পারেনি। আজও কি তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জন্য দশের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো কেউ আছে। আছে কি কেউ! এ প্রশ্ন ওঠা কি স্বাভাবিক নয়, কতদিন আগে, হয়তো বা একশো বছর হয়েছে, সে সময়েই তো কত তরুণ অরুণেরা প্রাণের মায়া ত্যাগ করে তাঁর সঙ্গ পেয়ে জীবন ধন্য করে তুলেছিল।

দেশ আজ অনেক এগিয়েছে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, মেধায় কিন্তু দেশের জন্যে সর্বস্ব দিতে পারার সেই অপরাজেয় মানসিকতা তো দুর্লভ হয়ে গেছে। তাই তো বিজ্ঞানের এত অগ্রগতির সঙ্গে দেখি অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কারে পূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দেশ বাঁচাতে সেই নবীন প্রজন্ম আজ কোথায় ! সুভাষচন্দ্রকে যে সেই নবীনদের সংঘবদ্ধ করার কাজে ভীষণ দরকার ছিল। স্বাভাবিকের বিপ্রতীপেই যেন তাঁর সতত অবস্থান। তাঁর কি কোনও উত্তরাধিকার ছিল বা আজও আছে? সুভাষচন্দ্রের একশো পঁচিশতম জন্মবর্ষে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব কি?

আরো পড়ুন: একটি রেয়ার ইন্টারভিউ, যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে

FAQs

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম কোথায় হয়েছিল?

২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ সাল। ওড়িশার মহানদী-সংলগ্ন কটক শহরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কোন উদ্ধৃতি সবচেয়ে বিখ্যাত?

“তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই উদ্ধৃতি সবচেয়ে বিখ্যাত।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন তারিখে নিরুদ্দেশ হন?

১৯৪১-এর ১৬ জানুয়ারি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিরুদ্দেশ হন।