Theory, Discovery, and the Nearest Black Hole to Earth : নাসার (National Aeronautics and Space Administration) হাবল স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এক দানবাকৃতি কৃষ্ণগহ্বর। যে কৃষ্ণগহ্বরটি 2 কোটি সূর্যের সমান ভর যুক্ত।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছে এই মহাশূন্যে হদিস মেলা এই দানবাকৃতি কৃষ্ণগহ্বরটি সম্পর্কে। এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরটি এক গালে খেয়ে নিতে পারে, গোটা সৌরজগৎটিকে।
2 কোটি সূর্যের সমান ভর যুক্ত কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কার:
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই কৃষ্ণগহ্বরটি কে SUPER MASSIVE ব্ল্যাকহোল বলে অভিহিত করেছেন। এই SUPER MASSIVE ব্ল্যাকহোল টি মহাশূন্যের মধ্যে দিয়ে এতটাই গতিবেগে ছুটছে যে এই গতিবেগ যদি আমাদের সৌরজগতের থাকতো তাহলে মাত্র ১৪ মিনিটের মধ্যেই পৃথিবী থেকে চাঁদে যাওয়া সম্ভব হতো। এই কৃষ্ণগহ্বরটির ওজন প্রায় দু কোটি সূর্যের ভরের সমান।
এই গ্যালাক্সিটি আমাদের সৌরজগত থেকে প্রায় 2 লক্ষ্য আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। আমাদের সৌরজগত যে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে রয়েছে, এই সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল টি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের প্রায় দ্বিগুণ বড়।
SUPER MASSIVE ব্ল্যাকহোল
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে এই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল টি তার সংস্পর্শে আসা নক্ষত্রগুলিকে খেয়ে ফেলার পরিবর্তে একটি সংকীর্ণ করিডরের মধ্যে প্রচুর নক্ষত্রের জন্ম দিচ্ছে। আর এই সমস্ত নতুন নক্ষত্র গুলির জন্ম হচ্ছে বিভিন্ন গ্যাসের সঙ্গে গ্যাসের ধাক্কার জন্য। এই ব্ল্যাকহোলটি আবার অর্ধেক উজ্জ্বল। এইরকম উজ্জ্বল ব্ল্যাক হোল এর সন্ধান পূর্বে কখনো পাওয়া যায়নি। নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে এটি প্রথম ধরা পড়েছিল। এটি আসলে একটি অদৃশ্য দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বর। এটি মূল ছায়াপথের স্তম্ভের শেষের দিকে অবস্থান করছে। এর বাইরের প্রান্তে অক্সিজেন আয়নের উপস্থিতি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে এই কৃষ্ণগহবর টির অবিশ্বাস্য গতির কারণে তার চারপাশে বিকিরণ তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন কৃষ্ণগহ্বর টির এই সুপারসনিক গতির কারণে এর সামনের দিকে উপস্থিত গ্যাস তরিতাহিত হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা যখন ব্ল্যাক হোল টি দেখেছিলেন তখন কাছাকাছি একটি বামন গ্যালাক্সিতে গ্লোবিউলার তারার ক্লাসটার খুঁজছিলেন তাঁরা। সেই তারাদের পথ ছিল বেশ আশ্চর্যজনক। সেগুলিকে অতি উজ্জ্বল এবং অস্বাভাবিক রূপে দেখা যাচ্ছিল।
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগে দুটি গ্যালাক্সি একত্রিত হবার ফলেই এই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরটি মুক্ত হয়েছিল। এখানে দুটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল একত্রিত হয়েছিল। এরপর আবার একটি তৃতীয় গ্যালাক্সি তার একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছিল। এই তিনটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের মিলনে এই দানবাকৃতি কৃষ্ণগহ্বরটির সৃষ্টি হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তিনটি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে একটি, অন্য দুটি থেকে বেশি গতি লাভ করেছে। তারপর সেটি হোস্ট গ্যালাক্সি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে এবং অন্য দুটি গ্যালাক্সির বিপরীত দিকে চলে গিয়েছে। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন তাঁদের পরবর্তী ধাপ হল, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এবং ফলোআপ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চন্দ্র-এক্সরে অবজারভেটরি ব্যবস্থা ব্যবহার করে ব্ল্যাকহোলের অনুসন্ধান করা।
ব্ল্যাকহোল আসলে কি (What is Black hole) ?
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর হল মহাকাশে অবস্থিত এমন এক জায়গা যেখানে মহাকর্ষ বল এতটাই শক্তিশালী যে সেখান থেকে কোন আলো পর্যন্ত নির্গত হতে পারে না।
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের মহাকর্ষ এত শক্তিশালী হওয়ার কারণ :
কৃষ্ণগহ্বর এর মহাকর্ষ বল প্রচন্ড শক্তিশালী হওয়ার কারণ হলো সেখানে একটি ছোট্ট জায়গার মধ্যে বিপুল পরিমাণ ভর পুঞ্জিভূত হয়ে থাকে। সম্ভবত একটি তারা বা নক্ষত্র তার মৃত্যুর সময় ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে যদি এর ভর কমপক্ষে আমাদের সূর্যের ভরের প্রায় তিনগুণ হয়। যেহেতু ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো পর্যন্ত নির্গত হতে পারে না তাই আমরা কখনোই এদের দেখতে পাই না। একমাত্র মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্যে বিশেষ কিছু যন্ত্র লাগিয়েই এদের শনাক্ত করা সম্ভব।
ব্ল্যাকহোল কত বড় হতে পারে?
এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবর প্রচন্ড রকমের বড় হতে পারে যেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না, আবার অত্যন্ত ছোটও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন যে সবচেয়ে ছোট ব্ল্যাকহোলের আকার একটি পরমাণুর সমানও হতে পারে। আবার সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর গুলির ভর কয়েক মিলিয়ন সূর্যের ভরের সমানও হতে পারে।
Nearest black hole to earth :
এইরকমই একটি দানবাকৃতি ব্ল্যাকহোল আছে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রে যার নাম সাজেটারিস্ট। এই ব্ল্যাকহোলটির ভর প্রায় চার মিলিয়ন সূর্যের ভরের সমান। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে এর ভেতর মিলিয়ন মিলিয়ন পৃথিবীর জায়গা হয়ে যাবে। এইরকম বড় কৃষ্ণগহ্বর গুলিকে বলা হয় সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল। আর এক ধরনের ব্ল্যাকহোল আছে যাদেরকে বলা হয় টেলার ব্ল্যাকহোল আর এদের ভর মোটামুটি একটি সূর্যের ভরের প্রায় ২০ গুন হয়ে থাকে। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এরকম টেলার ব্ল্যাকহোল অসংখ্য আছে বলে মনে করা হয়।
ব্ল্যাকহোল আবিষ্কারের ইতিহাস (Who discovered Black hole):
১৭৮৩ সালে, ভূতত্ত্ববিদ জন মাইকেল ক্যাভেন্ডিসকে লেখা এক চিঠিতে সর্বপ্রথম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ধারণা দেন।
এরপর ১৭৯৬ সালে বিখ্যাত গণিতবিদ লাপ্লাস তার একটি বইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণে এই ব্ল্যাকহোলের ধারণা উল্লেখ করেন। যদিও ভরহীন কণা হয়েও আলো কিভাবে মহাকর্ষ বল দ্বারা প্রভাবিত হয় তা তিনি সেখানে ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
পরবর্তীকালে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন তাঁর বিখ্যাত জেনারেল রিলেটিভিটি দ্বারা এটা দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে কিভাবে আলোর গতি মহাকর্ষ বল দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
এই ব্ল্যাকহোল কিভাবে তৈরি হয় ?(Black hole theory ) :
বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন যে সবচেয়ে ছোট ছোট ব্ল্যাকহোলগুলো মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়েই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর সেখানে একটি তারার মৃত্যুর পর সেটি একটি ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে যদি এর ভর একটি সূর্যের ভরের প্রায় আড়াই থেকে তিনগুণ হয় তখনই।
এটা আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে একটি নক্ষত্রের মধ্যে চারটি হাইড্রোজেন পরমাণু প্রচন্ড তাপে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠন করে। যাকে নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া বলা হয়। এই সময় প্রচুর শক্তি নির্গত হয়।
প্রচন্ড মহাকর্ষ বলের কারণে একটি বড় নক্ষত্র নিজের পৃষ্ঠতলকেই নিজে আকর্ষণ করতে থাকে। অর্থাৎ সে নিজের উপরেই চুপসে যেতে চায়। আবার অপরদিকে ভেতরের নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া একে চুপসে যেতে দেয় না। এইভাবে প্রত্যেকটি নক্ষত্র একটি সাম্যবস্থা অর্জন করে থাকে। নক্ষত্রদের এই সাম্য অবস্থা কোটি কোটি বছর ধরে চলে।
কিন্তু ওই নক্ষত্রটি যখন ওর নিজের ভেতরের সমস্ত হাইড্রোজেন জ্বালিয়ে হিলিয়ামে পরিণত করে দেয় তখন ওর ভেতরের নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওই নক্ষত্রটি তার মহাকর্ষ বলের কারণে চুপসে যেতেই থাকে, অর্থাৎ এই নক্ষত্রটি ক্রমশ সংকুচিত হতেই থাকে।
এর ফলে নক্ষত্রটির মহাকর্ষ বল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঠিক এইরকম একটি পর্যায়ে এর মহাকর্ষ বলের বেগ আলোর বেগের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। তখন এর ভেতর থেকে আলো নির্গত হতে পারে না। তখনই এই নক্ষত্রটিকে আমরা আর নক্ষত্র না বলে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর বলে থাকি।
বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোল পর্যবেক্ষণ করেন কিভাবে ?
ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো যেহেতু নির্গত হতে পারে না তাই আমরা কখনোই ব্ল্যাকহোলকে দেখতে পাই না। এ বিষয়ে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব বলে যে, আলোর গতি হচ্ছে এই মহাবিশ্বের সবথেকে বেশি গতি। অর্থাৎ মহাবিশ্বে আলোর গতির থেকে আর কোন কিছুরই গতি বেশি হতে পারে না। যেহেতু ব্ল্যাকহোল থেকে আলো পর্যন্ত নির্গত হতে পারে না তাই এখান থেকে আর কোন কিছুই নির্গত হতে পারবে না। তাহলে কথা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোল পর্যবেক্ষণ করেন কিভাবে?
আসলে ব্ল্যাকহোল গুলো তাদের শক্তিশালী মহাকর্ষ বল দিয়ে তাদের চারপাশের অঞ্চলে একটা বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। একটি সাধারন নক্ষত্র কোন ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি এসে পড়লে, এটি ব্ল্যাকহোলটিকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করতে থাকে । আর ঠিক তখনই এরা দৃশ্যমান আলো বিকিরণ করে। ঠিক ওই সময় ব্ল্যাকহোল গুলিকে স্যাটেলাইট বা টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা এই সুযোগটিকেই কাজে লাগান।
ব্ল্যাকহোল গুলিকে কেন মহাকাশের দানব বলা হয় ?
প্রতিটি ব্ল্যাকহোলে রয়েছে শক্তিশালী মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র। অর্থাৎ প্রত্যেক ব্ল্যাকহোল-এর চারদিকে একটি সীমা আছে, যেখান থেকে কোন কিছুই কখনো বের হতে পারেনা। এমনকি আলোকরশ্মি পর্যন্ত নির্গত হতে পারে না। তাই একটি নক্ষত্র যখন একটি ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি চলে আসে তখন এর পৃষ্ঠ থেকে জ্বলন্ত গ্যাস এই মহাকর্ষ বলের জন্য ব্ল্যাকহোলের উপর গিয়ে পড়ে। এভাবে ব্ল্যাকহোলটি পুরো তারাটাকেই গিলে খেয়ে ফেলে। এইভাবে নক্ষত্রসহ মহাকাশের বিভিন্ন বস্তুকে গিলতে গিলতে এই ব্ল্যাকহোলের ভর ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় এর ভর হয়ে ওঠে আমাদের সূর্যের ভরের চেয়েও হাজার হাজার গুণ বেশি। তখন একে মহাকাশের দানব ছাড়া আর কিবা বলা যেতে পারে।
ব্ল্যাকহোল কি আমাদের পৃথিবীকে গিলে ফেলতে পারে?
উত্তর হল না, আপাতত সেই রকম কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য কোন ব্ল্যাকহোল সৌরজগতের ঠিক তেমন কাছাকাছি নেই। এখন যদি সূর্যের ভরের সমান একটি ব্ল্যাকহোলকে সৌরজগতের কেন্দ্রের স্থাপন করে রাখা হয় তবুও পৃথিবী এর ভেতরে গিয়ে পড়বে না, কারণ পৃথিবী যেমন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, ঠিক তেমনভাবে ব্ল্যাকহোলটিকেও প্রদক্ষিণ করবে। আর সূর্য কখনো ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবে না কারণ সূর্যের সে রকম যথেষ্ট ভর নেই। অর্থাৎ আমাদের ব্ল্যাকহোলে পড়ে মরার ভয় আপাতত নেই বললেই চলে।
ব্ল্যাকহোল আবিষ্কার কে করেন (Who discovered Black hole) ?
১৭৮৩ সালে, ভূতত্ত্ববিদ জন মাইকেল ক্যাভেন্ডিসকে লেখা এক চিঠিতে সর্বপ্রথম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ধারণা দেন।
এরপর ১৭৯৬ সালে বিখ্যাত গণিতবিদ লাপ্লাস তার একটি বইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণে এই ব্ল্যাকহোলের ধারণা উল্লেখ করেন।
ব্ল্যাকহোল কি আমাদের পৃথিবীকে গিলে ফেলতে পারে?
না, আপাতত সেই রকম কোন সম্ভাবনা নেই।
ব্ল্যাক হোল কত বড় হতে পারে?
এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহবর প্রচন্ড রকমের বড় হতে পারে যেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না, আবার অত্যন্ত ছোটও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন যে সবচেয়ে ছোট ব্ল্যাকহোলের আকার একটি পরমাণুর সমানও হতে পারে। আবার সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর গুলির ভর কয়েক মিলিয়ন সূর্যের ভরের সমানও হতে পারে।