চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য সাজানো এই বিশেষ পোস্টে রয়েছে বৃত্তি পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ Scholarship Exam Bengali Questions ও তাদের বিস্তারিত উত্তর। সহজ ভাষায় উপস্থাপিত এই প্রশ্নোত্তরগুলি পড়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে তারা বাংলা বিষয়ে পাবে দৃঢ় ভিত্তি ও সফলতার নিশ্চয়তা।

চলো শুরু করা যাক Scholarship Exam Bengali Questions
“কাজটা যতটা সহজ মনে করেছিল, ততটা সহজ হবে না”- উদ্ধৃতিটি কার লেখা, কোন রচনার অংশ?
উত্তর: উদ্ধৃতিটি লেখিকা তেৎসুকো কুরোয়ানাগি-র লেখা ‘তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার’ গল্পের অংশ।
কাজটি কী ছিল?
উত্তর: এই উদ্ধৃতিতে ইয়াসুয়াকি-চানকে মই দিয়ে তোত্তো-চানের গাছে তোলার কাজের কথা বলা হয়েছে।
কাজটি সহজ মনে হলনা কেন?
উত্তর: ইয়াসুয়াকি-চান পোলিও রোগে ভুগছিল। তার হাত-পায়ের জোর এতই কম যে একা একা মইয়ের প্রথম ধাপে ওঠাও তার পক্ষে একেবারেই সম্ভব ছিল না, তাই তোত্তো-চান তাকে নীচ থেকে ঠেলে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু তোত্তো-চান নিজেই ছোটোখাটো রোগা চেহারার মানুষ। সে মইটাকেই ঠিকমতো সোজা করে রাখতে পারছিল না। তাই ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে তোলা তোত্তো-চানের কাছে সহজ কাজ বলে মনে হয়নি।
চতুর্থ শ্রেণীর গণিতের একটি কুইজে অংশগ্রহণ করার জন্য এইখানে ক্লিক করো।
👇👇👇👇👇
Grade 4 Math Quiz: প্রাথমিক গণিত শেখার সহজ উপায়: ইন্টারেক্টিভ কুইজের মাধ্যমে!
কাজটা কীভাবে সম্ভব হল?
উত্তর: কাজটাকে সম্ভব করার জন্য তোত্তো-চান একটা বাড়ির সিঁড়ির মতো মই জোগাড় করল। তোত্তো-চান নিজের মাথা দিয়ে ইয়াসুয়াকি-চানের পিছনটা ঠেলে একধাপ এক ধাপ করে ওর পা-টা সিঁড়িতে তুলে দিল। এইভাবে ইয়াসুয়াকি-চান মইয়ের মাথায় পৌঁছাল। কিন্তু সেখান থেকে তাকে গাছের ডালে নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভবই ছিল। তোত্তো-চান হার না মেনে তাকে গাছের ডালে শুয়ে পড়তে বলল। ভাগ হওয়া ডালে তোত্তো-চান দাঁড়িয়ে মইয়ের মাথায় পেটের উপর ভর দিয়ে শোওয়া ইয়াসুয়াকি-চানকে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করল। অবশেষে তাদের দুজনের চেষ্টায় গাছে ওঠার কাজটা সম্ভব হয়েছিল।
“এই প্রথম তোত্তোচান বুঝতে পারলো।”- ‘তোত্তোচানের অ্যাডভেঞ্চার’ বইটির লেখিকার নাম কী?
উত্তর: ‘তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার’ বইটির লেখিকার নাম তেৎসুকো কুরোয়ানানি।
‘তোত্তোচান’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘তোত্তোচান’ কথাটির অর্থ ছোট্টো খুকু।
তোত্তোচান কী বুঝতে পারল? কাজটা সহজ ছিল না কেন?
উত্তর: তোত্তোচান বুঝতে পারল তার কাজটি সহজে করা যাবে না, অর্থাৎ ইয়াসুয়াকি-চানকে মইতে উঠিয়ে গাছে তুলে দেওয়া সহজ কাজ ছিলনা।
অবশেষে কাজটি কিভাবে সম্ভব হল?
উত্তর: তোত্তোচান গাছের ওপর থেকে ইয়াসুয়াকির দুটি হাত ধরে প্রাণপণ টান দিয়ে গাছের উপরে তোলার ফলে কাজটি অবশেষে সম্ভব হয়েছিল।
দুই বন্ধু গাছের উপর বসে কি নিয়ে গল্প করছিল?
উত্তর: দুই বন্ধু গাছের ওপর বসে টেলিভিশন নিয়ে গল্প করেছিল।
“আমি কিন্তু, মা, বড়ো হয়ে এদের সবার দুঃখ ঘুচিয়ে দেব।” এই কথাটি কে বলেছে?
উত্তর: এই কথাটি বলেছে দস্যি ছেলে ‘জ্যোতি’ (যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়)।
মায়ের কোলে শুয়ে কোন কোন্ বীরত্বের কাহিনী শুনে বক্তার বুকটা টন টন করে?
উত্তর: মায়ের কোলে শুয়ে জ্যোতি শোনে রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের গল্প, রাণা প্রতাপ, শিবাজি, সীতারাম রায়, প্রতাপাদিত্যের কাহিনী। বীরত্বের এইসব কাহিনী শুনে বক্তার বুকটা টনটন করে।
কোন কোন গল্প শুনে তার মন ভক্তিতে ভরে ওঠে?
উত্তর: প্রহ্লাদ, চৈতন্য, নানক, কবীরের গল্প শুনে তার মন ভক্তিতে ভরে ওঠে।
কী শুনে তার রাগ দুঃখ হয়?
উত্তর: ইংরেজদের হাতে দেশের লোকেরা কীভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে তার বৃত্তান্ত শুনে তার ভীষণ রাগ আর দুঃখ হয়।
“-জ্যোতি ততক্ষণে উঠে বসেছে ঘোড়ার পিঠে ” – জ্যোতির প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: জ্যোতির প্রকৃত নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
উদ্ধৃতিটি কোন প্রসঙ্গে ও কোন রচনার অংশ?
উত্তর: উদ্ধৃতিটি ‘বাঘাযতীন’ রচনার অংশ। কৃষ্ণনগরের বাজারে জ্যোতি একটা পাগলা ঘোড়া দেখতে পায়। সেই ঘোড়ার ভয়ে সবাই যখন ছুটে পালাচ্ছে, তখন কাছেই একটি শিশু ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে মাঝ পথে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। তা দেখে জ্যোতি শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে ঘোড়া তার ঘাড়ের কাছে এসে পড়ে। সেই সময় ঘোড়াটা জ্যোতিকে কয়েকটা ঝটকা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটি করা হয়েছে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরিত্রটির কোন দিকটি উজ্জল হয়?
উত্তর: এই ঘটনার মধ্য দিয়ে চরিত্রটির সাহসিকতা ও দয়াশীলতা এর দিকটি উজ্জল হয়।
জ্যোতি ঘোড়ার পিঠে ওঠার পর কী হয়?
উত্তর: জ্যোতি ঘোড়ার পিঠে উঠে ঘোড়ার গলায় ছোটো ছোটো চাপড় মেরে হাত বুলিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। ঘোড়া শান্ত হয় আর জ্যোতির আদরও উপভোগ করে। তারপর সে সহিসের কাছ থেকে লাগাম নিয়ে ঘোড়ার গলায় পরিয়ে দেয়।
প্রশ্ন:”তোমাকে দেখছি এবার লোহার বালা পড়িয়ে দিতে হবে।” – উদ্ধৃত অংশটি কোন গদ্যের অংশ? এর লেখক কে? কে, কাকে এই কথা বলেছেন? কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে এই কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:
· উদ্ধৃত অংশটি ‘ছেলেবেলার দিনগুলি’ গদ্যের অংশ।
· এই গদ্যটির লেখিকা হলেন পুণ্যলতা চক্রবর্তী।
· লেখিকার মা ছোটোবেলায় লেখিকাকে এই কথা বলেছিলেন।
· চোর-পুলিশ খেলার সময় লেখিকার দাদা তার হাতের সোনার বালার মুখ ফাঁক করে অন্য বালাটা গলিয়ে হাতকড়ি বানিয়ে তাকে ধরে নেন। লেখিকা ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়াতে গেলে বালাটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছাদে ছড়িয়ে পড়ে। এই সোনার বালা ভেঙে যাওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখিকার মা তাকে এই কথা বলেন।
প্রশ্ন:”জ্যেঠামশাই হো হো করে হেসে উঠলেন, আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম” – কার লেখা কোন গদ্যের অংশ? জ্যেঠামশাই হেসে উঠলেন কেন? বক্তা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কেন?
উত্তর:
· এটি পুণ্যলতা চক্রবর্তী-র লেখা ‘ছেলেবেলার দিনগুলি’ গদ্যের অংশ।
· জ্যেঠামশাই ছিলেন গুরুগম্ভীর মানুষ। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তাঁর পায়ের কাছে একটি মাটির তাল (গোলা) পড়ে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। আলো এগিয়ে দিতেই দেখা গেল সেটি ছেলেদের খেলার মাটির গোলা। তখন তিনি উপরের দিকে তাকিয়ে ছাদের ছিবড়ে (ছাই/ময়লা) দেখেই হো হো করে হেসে উঠলেন।
· জ্যেঠামশাইকে বাড়ির ছেলেমেয়েরা ভীষণ ভয় করত। তাঁর চেহারা ও গলার আওয়াজ ছিল গম্ভীর। মাটির গোলা সিঁড়িতে পড়ে যাওয়ায় সবাই ভেবেছিল তারা বকুনি খাবে। কিন্তু জ্যেঠামশাই-এর হাসি দেখে সেই ভয় কেটে যায়, তাই বক্তা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
প্রশ্ন: “সুতরাং ঠিক হলো আমাদের দলটা এবার ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজপিসিমার বাড়ি যাবে” – কাদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল? ‘টমবয়’ শব্দের অর্থ কী? টমবয়ের বর্ণনা দাও। ছোটোপিসিমা কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন? সেজপিসিমার গ্রামের নাম কী?
উত্তর:
· কথক এবং তার ছোটোপিসিমা ও সেজোপিসিমার চার ছেলেমেয়েদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছিল।
· ‘টমবয়’ শব্দের অর্থ ডানপিটে, দুরন্ত প্রকৃতির মেয়ে।
· টমবয় প্রকৃতির মেয়ে হইহই করে, বিপজ্জনক খেলা খেলতে ভালোবাসে। কথকের মেজোপিসিমার মেয়ে গাছের কোমড় বেঁধে সবার আগে গাছে ওঠে, মারামারি হলে দলবেঁধে লড়াই করে। তার নাকে নোলক, মাথা ন্যাড়া।
· কথকের ছোটোপিসিমা ছিলেন বিধবা। তিনি একা একা ভিটে আগলাতেন ও ছেলেদের মানুষ করতেন। তাঁর প্রাণশক্তি ছিল প্রচুর। দিনে উদ্যমের সঙ্গে অনেক কাজ করতেন, রাতে লণ্ঠন জ্বালিয়ে বাড়ি পাহারা দিতেন। চোর, ডাকাত, প্রতিবেশী—কেউ তাঁর সঙ্গে পেরে উঠত না।
· সেজোপিসিমার গ্রামের নাম চন্দ্রহার।
প্রশ্ন: “কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হবে” – কার লেখা কোন রচনার অংশ? কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হওয়ার অর্থ কী?
উত্তর:
· এটি কুসুমকুমারী দাশ-এর লেখা ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতার অংশ।
· এর অর্থ হলো, আদর্শ ছেলে মুখের বড়ো বড়ো কথা দিয়ে সবাইকে চমকে দেবে না; বরং মুখে নয়, কাজের মাধ্যমে তার বড়ো হওয়ার গুণ প্রমাণ করবে। সে তার বুদ্ধি ও শ্রমকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করে কাজে সফল হবে।
প্রশ্ন:”বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর” – ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কবি কাদের কাছ থেকে কী শিক্ষালাভ করেন?
উত্তর: · কবি সুনির্মল বসু তাঁর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় সমগ্র পৃথিবীকে একটি বিশাল পাঠশালা বলে মনে করেছেন। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু ও প্রাণী তাঁর শিক্ষক। এই প্রকৃতির বিশাল পাঠশালায় কোনো চারদেয়ালে ঘেরা ক্লাসরুম নেই; গভীরভাবে বিশ্বপ্রকৃতিকে উপলব্ধি করলেই এখান থেকে জ্ঞানলাভ করা যায়।
· কবি আকাশের কাছ থেকে উদারতা, বায়ুর কাছ থেকে কর্মশীলতা, পাহাড়ের কাছ থেকে মহত্ব, খোলা মাঠের কাছ থেকে দিলখোলা হাসির শিক্ষা পান। এছাড়াও তিনি সূর্যের কাছ থেকে তেজস্বিতা, চাঁদের কাছ থেকে মধুরতা, মাটির কাছ থেকে সহিষ্ণুতা, আটপাহাড়ের কাছ থেকে কঠোরতার শিক্ষা পান। শ্যামল বনানী তাকে সরসতার শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন:”মাটির কাছে সহিষ্ণুতা পেলাম আমি শিক্ষা” – কোন কবিতার অংশ? কার লেখা? কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: · উদ্ধৃত অংশটি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার অংশ। কবিতাটি সুনির্মল বসুর লেখা।
· মাটির অসীম সহ্যক্ষমতা আছে। সে তার বুকের উপর সমগ্র বিশ্বজগৎকে ধারণ করে আছে। মাটির বুকে গভীর গর্ত খুঁড়ে মানুষ খনি আবিষ্কার করেছে, আবার মাটির বুকে ইট-কাঠ-লোহা পুঁতে বাসস্থান নির্মাণ করেছে। কিন্তু মাটি মানুষের সব অত্যাচারই নীরবে সহ্য করে। মাটির এই সহনশীলতা দেখেই কবি সহিষ্ণুতার শিক্ষা অর্জন করেছেন।
প্রশ্ন: “আল্লা মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দেরে তুই” – কবিতার কবি কে? কে, কেন এই প্রার্থনা করছে?
উত্তর:
· কবিতাটির কবি হলেন জসীমউদ্দীন।
· কবি জসীমউদ্দীন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন।
· ‘বর্ষার প্রার্থনা’ কবিতায় গ্রীষ্মকালের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রচণ্ড তাপে বালুচর ধুধু করছে। আকাশ থেকে শুরু করে নদী, খাল, বিল—সমস্ত কিছু অসহ্য উষ্ণতায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। চাষিরা গরু নিয়ে মাঠে যেতে পারছে না। গাছের পাতা জল না পেয়ে ঝরে পড়েছে, ফুলের কুঁড়িও ফোটার আগেই নীচে পড়ে গেছে। কপোত-কপোতীরা নিজেদের বাসায় বসে কাঁদছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র বৃষ্টিই সবকিছুকে স্বাভাবিক করতে পারে, তাই কবি ভগবানের কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
প্রশ্ন:”ইচ্ছে করে পাহারাওয়ালা হয়ে/ গলির ধারে আপন মনে থাকি” – কার এই ইচ্ছে? তার আর কী কী হবার ইচ্ছে জাগে?
উত্তর:
· রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বিচিত্র সাধ’ কবিতার শিশু কথকের এই ইচ্ছে জাগে।
· পাহারাওয়ালা ছাড়াও শিশুটির ফেরিওয়ালা কিংবা ফুলবাগানের মালি হওয়ার সাধ জাগে। ফেরিওয়ালা হয়ে সে মাথায় ঝুড়ি নিয়ে অজানা পথে ঘুরে বেড়াতে চায়। আবার ফুলবাগানের মালি হয়ে ধুলোবালি মেখে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতেও তার ইচ্ছে হয়।
প্রশ্ন:”আমি যখন হাতে মেখে কালি/ ঘরে ফিরি সাড়ে চারটে বাজে” – কে সাড়ে চারটেয় ঘরে ফেরে? সে তখন কী দেখে, তার কী ইচ্ছে হয়? এইরকম ইচ্ছের কারণ কী?
উত্তর:
· ‘বিচিত্র সাধ’ কবিতার শিশু কথক সাড়ে চারটেয় স্কুল থেকে ঘরে ফেরে।
· সে ফেরার পথে বাবুদের ফুলবাগানের মালিকে মাটি কোপাতে দেখে তারও মালি হতে ইচ্ছে হয়।
· তার মালি হতে ইচ্ছে হওয়ার কারণ হলো, মালি স্বাধীনভাবে কোদাল নিয়ে মাটি কোপাতে পারে, কেউ তাকে বারণ করে না। তার জামা ময়লা হয়ে গেলেও মা তাকে সাফ জামা পরায় না। গায়ে-হাতে ধুলো মেখে কাজ করতেও তার কোনো বাধা নেই। মালির জীবনের এই অবাধ স্বাধীনতাই তাকে আকর্ষণ করে।
প্রশ্ন:”আমার জন্যে সব রাস্তাই খোলা, আমাকে যেতে কোথাও নেই মানা” – কোন কবিতার অংশ? কবির নাম কী? কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর:
· এটি ‘মালগাড়ি’ কবিতার অংশ।
· কবির নাম প্রেমেন্দ্র মিত্র।
· ‘মালগাড়ি’ কবিতার কথক শিশুটি মালগাড়ি হতে চেয়েছে। সে ভেবেছে মালগাড়ি হলে তার জন্য সব রাস্তাই খোলা থাকবে, কোথাও যেতে কোনো বাধা থাকবে না। কারণ মালগাড়ির যাত্রী ট্রেনের মতো প্রতিদিন একই গন্তব্যে যেতে হয় না; যখন যেখানে মাল পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন সেখানেই যেতে পারে।
প্রশ্ন:”চেয়ে নেব একটি শুধু বর” – কোন কবিতার অংশ? ‘বর’ শব্দের অর্থ কী? কবি কার কাছে কিসের বর চেয়ে নিতে চান?
উত্তর:
· উদ্ধৃত অংশটি ‘মালগাড়ি’ কবিতার অংশ।
· ‘বর’ শব্দের অর্থ কোনো দেবতা বা মহৎ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত আশীর্বাদস্বরূপ কোনো বস্তু।
· কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘মালগাড়ি’ কবিতায় কবি তাঁর জন্মদিনের উপহার হিসেবে ফুল-পরিদের (পরী) কাছ থেকে মালগাড়ি হওয়ার বর চেয়ে নিতে চান।
‘সত্যি চাওয়া’ কবিতাটি কার লেখা? এখানে ‘তোরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? তারা সত্যি চাইলে কী কী হতে পারে বলে কবি মনে করেন?
উঃ · ‘সত্যি চাওয়া’ কবিতাটি নরেশ গুহ-র লেখা।
· আলোচ্য অংশে ‘তোরা’ বলতে কবি পাঠক অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছেন।
· সকল মানুষ হৃদয় দিয়ে চাইলে ঘাস আরও সবুজ হয়ে উঠবে, জল মিষ্টি হবে, ফলমূল স্বাদু হয়ে উঠবে। মানুষের প্রকৃত চাওয়ার ফলেই প্রকৃতির মুক্ত বায়ু গানে ভরে উঠবে। অর্থাৎ প্রকৃতি দূষণমুক্ত ও বিশুদ্ধ হয়ে উঠবে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী ভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে বাণিজ্য করতে চান? তিনি দেশে দেশে বাণিজ্য করে কী কী করতে চান?
উঃ · ‘আমি সাগর পাড়ি দেবো’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সপ্ত মধুকর নৌকোয় চড়ে সাত সাগরে পাড়ি দিতে চান। ময়ূরপঙ্খি বজরায় রাজহাঁসের মতো দুলে দুলে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে বাণিজ্য করতে চান।
· বাণিজ্যে গিয়ে তিনি মানুষের মধ্যে ভালোবাসার বার্তা এনে তাদের বিভেদ দূর করতে চান। বিভিন্ন দেশের সম্পদ তিনি নিজের দেশে যেমন আনবেন, তেমন নিজের দেশের সম্পদও অন্য দেশে দান করবেন। কবি মায়ের জন্য জগতের সমস্ত সুখ কুড়িয়ে আনবেন এবং লাল জহরত, পান্নাচুনি, মুক্তামালা ইত্যাদি সংগ্রহ করে মাকে রাজরানি বানিয়ে মায়ের দুঃখ ঘোচাবেন।
“আমি সাগর পাড়ি দেব, আমি সওদাগর” – এটি কার লেখা, কোন কবিতার অংশ? ‘সওদাগর’ কথার অর্থ কী?
উঃ · উদ্ধৃত অংশটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
· উদ্ধৃত অংশটি ‘আমি সাগর পাড়ি দেব’ কবিতার অংশ।
· ‘সওদাগর’ কথার অর্থ বণিক বা ব্যবসায়ী।
“শুক্তি দেবে মুক্তামালা আমারে নজরানা” – ‘শুক্তি’ ও ‘নজরানা’ শব্দ দুটির অর্থ কী? এই কথার মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উঃ · ‘শুক্তি’ শব্দের অর্থ ঝিনুক এবং ‘নজরানা’ শব্দের অর্থ উপহার।
· সমুদ্র কবির বন্ধু হয়ে তাকে নানা উপহার দেবে। শুক্তি অর্থাৎ ঝিনুকের দল কবিকে মুক্তার মালা উপহার দিয়ে স্বাগত জানাবে।
“বনভোজনে মিলেছে আজ দুষ্টু কাশী, মিলেছে শালি, দুষ্টু মেয়ে শাখীরে হরোর সঙ্গে এনেছে।” – মেয়ে কটিার নাম কী কী উল্লেখ আছে? তারা বনভোজনের জন্য কী কী এনেছে? তাদের রান্নার দৃশ্য বর্ণনা করো।
উঃ · কবিতায় যে কটি মেয়ের নাম উল্লেখ আছে সেগুলি হল – নুরু, পুসি, আয়েশা ও শফি।
· তাদের মধ্যে বনভোজনের জন্য কেউ এনেছে আঁচল ভরে আমের গুটি, নারকেলের মালার হাঁড়ি, কেউ এনেছে রঙিন ঘুরি, কেউ এনেছে ছোট্ট বঁটি আবার কেউ এনেছে চুড়ি।
· বিনা আগুন দিয়েই তাদের সবার রাঁধা হচ্ছে, তবু সবাই ‘দুই চোখে ধোঁয়া’ লেগেছে ও ‘হাত পুড়ে গেল’ বলে মিথ্যা করে কাঁদছে। কেউ কোর্মা পোলাও রাঁধে, কেউ নুন চাখে, এভাবেই তাদের রান্না শেষ হলো।