West Bengal Class 4 science scholarship past question and answers — চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি বিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তর সংগ্রহ

Our WhatsApp Group Join Now

এই পেজে রয়েছে West Bengal Class 4 science scholarship past question and answers, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞানের বিগত বছরের প্রশ্ন ও উত্তর। সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে বাছাই করা প্রশ্নসহ বিস্তারিত উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রিসোর্স। নিয়মিত আপডেট করা হবে, তাই পরীক্ষার্থীরা এখানে আস্থা রাখতে পারেন।

Class 4 science scholarship past question and answers
Class 4 science scholarship past question and answers

Class 4 science scholarship past question and answers – বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান বিষয়ের নির্বাচিত প্রশ্ন এবং উত্তর

🏛️ PART I

🔹 ১. শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো নয়টি)

  • (ক) ব্যাঙেরদের খাবার হল পোকামাকড়
  • (খ) বস্তু যা দিয়ে তৈরি তাকে আমরা পদার্থ বলি
  • (গ) হাঁসের পায়ের আঙুলগুলি জোড়া
  • (ঘ) তরল ও গ্যাসের নির্দিষ্ট আকার নেই
  • (ঙ) বাতাসে যে গ্যাস সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে তার নাম নাইট্রোজেন
  • (চ) বাতাস শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছোয়
  • (ছ) যে-কোনো কাজ করতে শক্তির প্রয়োজন হয়
  • (জ) খাবার খেয়ে আমরা শক্তির চাহিদা মেটাই
  • (ঝ) দোঁয়াস মাটি চাষের পক্ষে সেরা
  • (ঞ) ছাঁকনি আর চালুনির কাজ একই

🔹 ২. ভুল সংশোধন করো (যে-কোনো পাঁচটি)

প্রশ্নসংশোধিত রূপ
সব কাজে একই পরিমাণ শক্তি প্রয়োজনএক একরকম কাজের জন্য এক এক পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন
শাকসবজি ও পাকা পেঁপে খাওয়া চোখের পক্ষে ভালো নয়শাকসবজি ও পাকা পেঁপে খাওয়া চোখের পক্ষে ভালো
আমাদের মুখে ৩২ রকমের দাঁত থাকেআমাদের মুখে ৩২টি দাঁত থাকে
সেকেন্ড ওজন পরিমাপের এককসেকেন্ড সময় পরিমাপের একক
বর্ষাকালে ঘাসে শিশির জমেশীতকালে ঘাসে শিশির জমে
জলে শুধু মাছ থাকেজলে মাছ ছাড়া অন্য প্রাণীরাও থাকে

🔹 ৩. যে-কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও

❓ (ক) উদ্ভিদ কীভাবে খাবার তৈরি করে? খাবার তৈরির সময় উদ্ভিদ কোন্ গ্যাস বাতাসে ছাড়ে? সেই গ্যাস আমাদের কী কাজে লাগে?

✅ উত্তর: উদ্ভিদ শিকড়ের সাহায্যে মাটি থেকে জল সংগ্রহ করে পাতায় পৌঁছে দেয়। এরপর সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে উদ্ভিদ নিজের ক্লোরোফিলযুক্ত সবুজ পাতায় খাদ্য তৈরি করে। খাবার তৈরির সময় উদ্ভিদ অক্সিজেন গ্যাস বাতাসে ছাড়ে। এই অক্সিজেন গ্যাস আমাদের শ্বাস গ্রহণের কাজে লাগে।

❓ (খ) সুষম আহার কাকে বলে?

✅ উত্তর: খাবার পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবার খেলে শরীরে শক্তির চাহিদা মেটে। সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা আর রোগ প্রতিরোধও করা যায়। একে সুষম আহার বলা হয়। অর্থাৎ নানারকমের খাবার মিলিয়ে মিশিয়ে খেলে তবেই তাকে সুষম আহার বলে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সুষম আহার একরকমের হয় না। কাজের ধরন, বয়স, শরীরের ওজন, শারীরিক অবস্থা, উচ্চতা, কোনো জায়গার জলহাওয়ার উপর সুষম আহার কেমন হবে তা নির্ভর করে।

❓ (গ) খাবার হজম কীভাবে হয়?

✅ উত্তর: হজম বলতে বোঝায়, খাবারকে খুব ছোটো ছোটো কণায় ভেঙে ফেলা। এর ফলে শরীর খুব সহজেই তা নিতে পারে। আমরা যখন কোনো খাবার খাই, প্রথমে দাঁত দিয়ে খাবারটিকে ভেঙে টুকরো করে ফেলি। এটি খাবার হজমের প্রথম ধাপ। খাবার চিবোনোর জন্য মুখের চারপাশের লালাগ্রন্থি থেকে যে লালারস বেরিয়ে আসে, সেটি খাবারের সঙ্গে মিশে খাবারটিকে নরম করে দলা পাকিয়ে দেয়।

❓ (ঘ) গ্যাসের ওজন আছে কীভাবে বুঝবে?

✅ উত্তর: বাতাসে নানারকমের গ্যাস মিশে থাকে। যেমন- নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও নিষ্ক্রিয় গ্যাস। প্রতিটি গ্যাসের আলাদা ভর আছে। আমাদের অনেকের বাড়িতেই গ্যাসের উনুনে রান্না হয়। গ্যাসের উনুনে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে পাইপের মধ্য দিয়ে উনুনে যায়। তাই ধীরে ধীরে সিলিন্ডার হালকা হতে থাকে। সেকারণে বাড়িতে যিনি সিলিন্ডার দেন তার বয়ে আনতে কষ্ট হয়। কিন্তু খালি সিলিন্ডার সহজেই নিয়ে যেতে পারেন। এ থেকেই বোঝা যায় গ্যাসের ওজন আছে।

❓ (ঙ) জল কী কী অবস্থায় থাকে? সেগুলি কী? জলের অবস্থার পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়?

✅ উত্তর: জল তিন রকম অবস্থায় থাকে। জল যখন কঠিন হয় তখন তাকে বরফ বলে। বরফ গলে হয় তরল জল এবং তরল জল ফোটালে পাওয়া যায় জলীয় বাষ্প। বরফ থেকে জল, জল থেকে বাষ্প এবং বাষ্প থেকে জল এসব হল জলের অবস্থার পরিবর্তন।

চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশের একটি কুইজে অংশগ্রহণ করার জন্য নিচে ক্লিক করো 
👇👇👇👇👇

চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান অনলাইন মডেল টেস্ট: Class 4 Environment Science Quiz & Question Answer

❓ (চ) বাঘ বিলুপ্ত হবে কেন?

✅ উত্তর: মানুষ বনজঙ্গল কেটে ফেলায় বাঘের থাকার জায়গা কমে যাচ্ছে। জঙ্গলে হরিণ, শুয়োর কমে যাওয়ায় বাঘেদের খাবার কমে যাচ্ছে। আবার চোরাশিকারিরা চামড়া, নখ ও হাড়ের লোভে বাঘ মেরে ফেলছে। বাঘের সংখ্যা এত কমে যাচ্ছে যে সবাই মনে করছে, একসময় একটা বাঘও আর পৃথিবীতে থাকবে না।

❓ (ছ) মেঘ কীভাবে তৈরি হয়?

✅ উত্তর: প্রকৃতিতে জলের অবস্থানের পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হল মেঘ তৈরি। সূর্যের তাপে সমুদ্র-নদী-পুকুর থেকে জল বাষ্প হয়। বাতাসের সঙ্গে জলীয় বাষ্প মিশে মাটি থেকে উঁচুতে উঠে এবং ঠান্ডা হয়। ঠান্ডা হতে হতে একসময় ছোটো ছোটো জলের ফোঁটা সৃষ্টি হয়। এই জলের ফোঁটা থেকেই মেঘ তৈরি হয়।

🔹 ৪. যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও

❓ (ক) কেন্নোকে ছুঁলেই তা গোল হয়ে গুটিয়ে যায়, কিন্তু টিকটিকি গুটোয় না কেন?

✅ উত্তর: কেন্নোর মেরুদণ্ড বা শিরদাঁড়া নেই। তাই কেন্নোকে ছুঁলে সে ভয় পেয়ে গোল হয়ে গুটিয়ে যায়। কিন্তু টিকটিকির শিরদাঁড়া আছে। তাই সে কেন্নোর মতো গোল হয়ে গুটিয়ে যেতে পারে না।

❓ (খ) দাঁত ভালো রাখার জন্য কী করা দরকার?

✅ উত্তর: দাঁত ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন দু-বার করে দাঁত মাজা উচিত। তা ছাড়া কোনো কিছু খাওয়ার পরেও ভালো করে মুখ ধুয়ে নেওয়া দরকার। তা না হলে দাঁতের ফাঁকে জীবাণুরা আটকে থেকে দাঁতকে খারাপ করে দিতে পারে।

❓ (গ) শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় কিন্তু বর্ষাকালে দেরি হয় কেন?

✅ উত্তর: শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বর্ষাকালের তুলনায় অনেক কম হয়। তাই শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয়। কিন্তু বর্ষাকালে শুকোতে দেরি হয়।

❓ (ঘ) উঁচু পাহাড় চূড়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন?

✅ উত্তর: উঁচু পাহাড় চূড়ায় বাতাস কমে যায়। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। সেই কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।


🏛️ PART II

⏰ সময়: ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট
📊 পূর্ণমান: ১০০

🔹 ১. শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো দশটি)

  • (ক) পৃথিবীর উপগ্রহ হল চাঁদ
  • (খ) জল না হলে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হত না
  • (গ) উল্কাপিণ্ড থেকে আবিষ্কার হয় লোহা
  • (ঘ) ভারতীয় বিজ্ঞানী আর্যভট্ট জানতেন যে, পৃথিবী নিজের চারপাশে পাক খায়
  • (ঙ) বন্যার জল সরে গেলে কৃষিজমিতে পলি থিতিয়ে পড়ে
  • (চ) নৌকা চালানোর সময় সারিগান গাওয়া হয়
  • (ছ) পোড়া মাটির জিনিস তৈরি হয় বাঁকুড়া জেলাতে
  • (জ) হুগলি জেলার ধনেখালি তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত
  • (ঝ) জলদাপাড়া জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বইছে হলং নদী
  • (ঞ) চকমকি পাথর ঠোকাঠুকি করে আগুন জ্বালানো হত
  • (ট) মেঘালয় রাজ্যে খাসিয়া-দের সমাজে মা পরিবারের প্রধান

🔹 ২. এককথায় উত্তর দাও (যে-কোনো দশটি)

  • (ক) পোড়ামাটির বিখ্যাত মন্দির কোথায় আছে? বিষ্ণুপুরে
  • (খ) কোন্ গ্রহের বলয় আছে? শনি গ্রহের
  • (গ) বাঘ-সিংহ কোথায় থাকে? জঙ্গলে
  • (ঘ) ব্রোঞ্জ কোন্ কোন্ ধাতুর মিশ্রণ? তামা ও টিন
  • (ঙ) গম্ভীরা কোন্ জেলার গান? মালদা
  • (চ) আদিমকালে মানুষ ছুঁচ বানাত কী দিয়ে? পশুর হাড়
  • (ছ) সপ্তর্ষিমণ্ডলকে দেখতে কেমন লাগে? প্রশ্নচিহ্নের মতো
  • (জ) মুগা রেশম ভারতের কোথায় পাওয়া যায়? আসামে
  • (ঝ) মানুষ প্রথম কোন্ পশুকে পোষ মানিয়েছিল? কুকুরকে
  • (ঞ) চাষের জমিতে সেচের জন্য কী প্রয়োজন? জল
  • (ট) সাঁওতাল মেয়েরা কোন্ গান গাইতে গাইতে নাচে? ঝুমুর গান

🔹 ৩. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি লেখো (যে-কোনো ছয়টি)

  • (ক) অল্প সময়ে বেশি চাষ করার জন্য ট্র্যাক্টর ব্যবহার করা হয়
  • (খ) ইস্পাত তৈরি হয় লোহা থেকে
  • (গ) সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহটি হল বুধ
  • (ঘ) যে তারাকে নড়তে দেখা যায় না, তা হল ধ্রুবতারা
  • (ঙ) ইনস্যাট একটি কৃত্রিম উপগ্রহ
  • (চ) হুইসলিং টীল এক ধরনের পাখি
  • (ছ) আদিম মানুষেরা ছবি আঁকত গুহার দেয়ালে
  • (জ) নানান জিনিসের পুতুল তৈরি করে পটুয়ারা

🔹 ৪. যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও

❓ (ক) গাছের প্রয়োজনীয়তা কী কী?

✅ উত্তর:

  1. মানুষ ও অন্যান্য সমস্ত প্রাণীদের খাদ্যের জোগান দেয় গাছ
  2. গাছ দিনের বেলায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ক্লোরোফিলযুক্ত পাতায় যখন খাদ্য তৈরি করে, তখন বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড টেনে নেয় এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে
  3. বিভিন্ন প্রাণীরা গাছকে আশ্রয় করে বাসস্থান গড়ে তোলে
  4. গাছের শিকড় মাটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকে বলে ভূমিক্ষয় রোধ হয়
  5. বিভিন্ন গাছ থেকে নানান ভেষজ ওষুধ তৈরি হয়
  6. গাছের কাঠ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি হয়
  7. গাছ থেকে কাগজ পাওয়া যায়
  8. নৌকা ছাড়াও অন্যান্য যানবাহন তৈরিতে গাছের ব্যবহার করা হয়

❓ (খ) চাকা কী কাজে লাগে? চাকা কী দিয়ে বানানো হয়? মানুষ চাকা তৈরি করেছিল কেন?

✅ উত্তর:

চাকার কাজগুলি হল-

  • কোনো যানবাহনকে গড়িয়ে নিয়ে যেতে রবারের বা কাঠের চাকা ব্যবহার হয়
  • মাটির জিনিস তৈরিতে কুমোরেরা চাকা ব্যবহার করে
  • কলকারখানায় যন্ত্রপাতি চালাতে চাকা ব্যবহৃত হয়
  • সুতো কাটা, কুয়ো থেকে জল তোলা ইত্যাদি কাজেও চাকা লাগে

চাকা কী দিয়ে বানানো হয়: মানুষ প্রথমে কাঠ অর্থাৎ গাছের গুঁড়িকে গোল করে কেটে চাকা বানাতে শুরু করল। এরপর পাথরের চাকা বানাল। তারপরে মানুষ ধাতুর ব্যবহার শিখল এবং কাঠের চাকাকে শক্তপোক্ত করার জন্য লোহার বেড় দিল। এরও অনেক পরে রবারের চাকা তৈরি করল।

মানুষ চাকা তৈরি করেছিল কেন: কোনো কিছু টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল, তাই মানুষ নিজের প্রয়োজনে প্রথম চাকা তৈরি করেছিল।

❓ (গ) নদী আমাদের কী উপকার করে? নদীতে বাঁধ দেওয়া হয় কেন?

✅ উত্তর:

নদীর উপকারিতাগুলি হল-

  • কৃষিজমিতে জলসেচের কাজে নদীর জল ব্যবহার হয়
  • পরিষ্কার নদীর জল পানীয় জলরূপে ব্যবহার করা হয়
  • পরিবহণের কাজে নদীপথ ব্যবহার করা হয়
  • নদীর জল কলকারখানার কাজে লাগে
  • মাছ নদী থেকে পাওয়া যায়
  • রোজকার কাজ যেমন-স্নান করা, কাপড় কাচা, গৃহপালিত পশুকে স্নান করানো ইত্যাদির জন্য নদীর প্রয়োজন হয়
  • নদীপথের কাছাকাছি বাস করলে ভেলা বা নৌকোর সাহায্যে শস্য, কাঠ, পাথর বয়ে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়

নদীতে বাঁধ দেওয়া হয় কেন: বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ও সারাবছর চাষের জমির প্রয়োজনীয় জল ধরে রাখার জন্য নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়।

❓ (ঘ) অমাবস্যা ও পূর্ণিমা কী?

✅ উত্তর:

অমাবস্যা: চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে এসে পড়ে। তখন চাঁদের অন্ধকার অংশটি পৃথিবীর সামনে থাকায় আমরা চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখতে পাই না। একেই অমাবস্যা বলে।

পূর্ণিমা: চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় পৃথিবী, সূর্য এবং চাঁদের মাঝে অবস্থান করে। এই সময় চাঁদের যে দিকটা পুরোপুরিভাবে সূর্যের আলো পায় সেই দিকটা পৃথিবীর সামনে থাকে বলে তখন পৃথিবী থেকে চাঁদকে উজ্জ্বল ও গোল থালার মতো দেখতে লাগে। একে পূর্ণিমা বলে।


🏛️ PART III

🔹 ১. শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো নয়টি)

  • (ক) কাঁটা আছে এমন একটি গাছ হল ফণীমনসা
  • (খ) যেসব প্রাণী হারিয়ে গেছে, তাদের বলা হয় বিলুপ্ত প্রাণী
  • (গ) খালি চোখে যাদের দেখা যায় না, তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায়
  • (ঘ) শক্তি না থাকলে কাজ করা যায় না
  • (ঙ) দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ভর মাপা হয়
  • (চ) শিশুর জন্মের ছয় মাস পরে সাধারণত দাঁত উঠতে থাকে
  • (ছ) নর্দমায় যে পাউডার ছড়ানো হয়, তার নাম ব্লিচিং পাউডার
  • (জ) বন্যার পরে যে মাটি থিতিয়ে পড়ে, তাকে বলা হয় পলি মাটি
  • (ঝ) মানুষ গোল হতে পারে না কারণ মানুষের শিরদাঁড়া আছে
  • (ঞ) ধানের খোসাকে বলে তুষ

🔹 ২. ভুল সংশোধন করো (যে-কোনো পাঁচটি)

প্রশ্নসংশোধিত রূপ
যে-সমস্ত পদার্থের নিজস্ব আকার আছে তারা হল তরল পদার্থযে-সমস্ত পদার্থের নিজস্ব আকার আছে তারা হল কঠিন পদার্থ
বরফে তাপ দিলে প্রথমে বাষ্প পাওয়া যায়বরফে তাপ দিলে প্রথমে জল পাওয়া যায়
শীতকালে সরষের তেল জমে যায়শীতকালে নারকেল তেল জমে যায়
বুকে হেঁটে চলে এরূপ একটি প্রাণী হল ইঁদুরবুকে হেঁটে চলে এরূপ একটি প্রাণী হল সাপ
তুলো পাওয়া যায় পলাশ গাছ থেকেতুলো পাওয়া যায় শিমুল গাছ থেকে
খাবারের যে অংশ হজম হয় না, তা পাকস্থলিতে জমা হয়খাবারের যে অংশ হজম হয় না, তা মলাশয়ে জমা হয়

🔹 ৩. যে-কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও

❓ (ক) পাখিরা দীর্ঘক্ষণ আকাশে ওড়ে কীভাবে?

✅ উত্তর: পাখিরা দীর্ঘক্ষণ আকাশে উড়েও ক্লান্ত হয় না। কারণ পাখিদের শরীরের ভেতরে বাতাস ভরা থলি থাকে। তারা সেই থলিতে অনেকটা বাতাস একবারে ভরে নেয়। আর আকাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। তা ছাড়া পাখিদের হালকা শরীর ও পাখনা তাদের আকাশে উড়তে সাহায্য করে।

❓ (খ) মরিশাসের ডোডো পাখি হারিয়ে গেল কেন?

✅ উত্তর: আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে ভারত মহাসাগরের বুকে মরিশাস নামে একটি ছোটো দ্বীপে বিভিন্ন পশুপাখির সঙ্গে ডোডোপাখি মহানন্দে বাস করত। হঠাৎ সেখানে বিদেশি মানুষদের সঙ্গে প্রচুর সংখ্যায় বিড়াল, ইঁদুর, কুকুর ও বানর আসে। তারা ইচ্ছামতো ডোডো পাখি মারতে থাকে। এইভাবে আস্তে আস্তে মরিশাসের ডোডো পাখি হারিয়ে যায়।

❓ (গ) বাতাসে বর্তমান আছে এমন চারটি উপাদানের নাম লেখো

✅ উত্তর: বাতাসে বর্তমান আছে এমন চারটি উপাদান হল- নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড

❓ (ঘ) কাচের গ্লাসে বরফ রাখলে কিছু সময় পরে গ্লাসের বাইরে জলের ফোঁটা জমা হয় কেন?

✅ উত্তর: হাওয়া গ্যাসীয় পদার্থের মিশ্রণ। এতে অনেক গ্যাস মিশে আছে। এ ছাড়াও হাওয়ায় অনেক জলীয় বাষ্প মিশে থাকে। খুব ঠান্ডা হলে সেই জলীয় বাষ্প থেকে জলের ফোঁটা তৈরি হয়। সেই কারণে একটি বরফের ভরতি গ্লাস বাইরে রাখলে দেখা যায় গ্লাসের গায়ে বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা তৈরি হয়েছে।

❓ (ঙ) বস্তু কাকে বলা হয়? পদার্থ কী?

✅ উত্তর: আমাদের চারপাশে যা যা জিনিস আমরা দেখতে পাই, সেগুলিকে আমরা বস্তু বলি। যেমন-প্লাস্টিকের বোতল, লোহার পেরেক প্রভৃতি। বস্তু যা দিয়ে তৈরি, তাকে আমরা পদার্থ বলি। যেমন-লোহা, প্লাস্টিক প্রভৃতি।

❓ (চ) সুষম আহার কেমন হবে তা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

✅ উত্তর: সুষম আহার কেমন হবে তা নির্ভর করে কাজের ধরন, বয়স, শরীরের ওজন, উচ্চতা, শারীরিক অবস্থা ও কোনো জায়গার আবহাওয়ার উপর।

❓ (ছ) শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে? তখন কোন্ কোন্ গ্যাস শরীরে ঢোকে এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যায়?

✅ উত্তর: আমরা বাতাস থেকে শ্বাস নিই। বাতাস থেকে এই শ্বাস নেওয়াটাই হল প্রশ্বাস। অন্যদিকে প্রশ্বাসের সঙ্গে যে পথ দিয়ে বাতাস শরীরে ঢোকে, আবার নিশ্বাসের সঙ্গে সেই পথেই বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায়। প্রশ্বাস ও নিশ্বাসের ক্রিয়াকে একসঙ্গে বলে শ্বাসক্রিয়া। শ্বাসক্রিয়ার সময় অক্সিজেন গ্যাস শরীরের ভিতর ঢোকে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

🔹 ৪. যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও

❓ (ক) সমূদ্রের জলে নুন আছে তা কীভাবে বুঝতে পারা যায়?

✅ উত্তর: সমুদ্রের জলে ভেজা জামাকাপড় না কেচে শুকোতে দিলে দেখা যায় যে, সেগুলি শুকোনোর পর তাতে সাদা সাদা দাগ হয়ে আছে। এই সাদা দাগগুলি হল নুন, যা সমুদ্রের জল থেকে এসেছে। সমুদ্রের জল মুখে দিলে নোনতা লাগে। এ থেকেই বোঝা যায় যে, সমুদ্রের জলে নুন আছে।

❓ (খ) চোখ ভালো রাখার জন্য কী কী খাবার খাওয়া উচিত?

✅ উত্তর: ভিটামিন ‘A’ যুক্ত বিভিন্ন খাবার যেমন- শাকসবজি, গাজর, পাকা পেঁপে ইত্যাদি চোখ ভালো রাখার জন্য খাওয়া উচিত।

❓ (গ) লালারসের কাজ কী?

✅ উত্তর: আমরা কোনো খাবার খাওয়ার সময় দাঁত দিয়ে সেটিকে টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে নিই। এটি হজমের প্রথম ধাপ। দাঁত দিয়ে চিবোনোর সময় আমাদের মুখের চারপাশে থাকা লালগ্রন্থি থেকে লালারস বেরিয়ে আসে। লালারসে থাকে একপ্রকার হজমের রস। হজম করানো ছাড়া লালারস খাবারকে দলা পাকিয়ে দেয়, যাতে খাবার সহজেই গলা দিয়ে নেমে যায়।

❓ (ঘ) দৌড়োনোর সময় আমরা জোরে শ্বাস নিই কেন?

✅ উত্তর: দৌড়োনোর সময় বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় বেশি শক্তির দরকার হয়। তার জন্য প্রয়োজন হয় বেশি অক্সিজেনের। এই সময় শরীরে অনেকটা অক্সিজেন ঢোকানোর জন্যই জোরে জোরে শ্বাস নিতে হয়।

❓ (ঙ) গাছ খাবার তৈরি করে কীভাবে?

✅ উত্তর: উদ্ভিদ শিকড়ের সাহায্যে মাটি থেকে জল সংগ্রহ করে পাতায় পৌঁছে দেয়। এরপর সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে উদ্ভিদ তার ক্লোরোফিলযুক্ত সবুজ পাতায় খাদ্য তৈরি করে।


🏛️ PART IV

🔹 ১. শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো দশটি)

  • (ক) মানুষের প্রথম কাজের ধাতু হল তামা
  • (খ) চাকা ছাড়া তো গাড়ি চলবেই না
  • (গ) মানুষ যখন জঙ্গলে বাস করত তখন হাতিয়ার হিসেবে গাছের ডাল, লাঠি ব্যবহার করত
  • (ঘ) পশ্চিমবঙ্গে টয়ট্রেন আছে দার্জিলিং-এ
  • (ঙ) ছৌ-নাচে মুখোশ পরতেই হয়
  • (চ) কুকুরকে মানুষ প্রথম পোষ মানিয়েছিল
  • (ছ) মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য তৃণভোজী প্রাণীরা
  • (জ) শীত ঋতুতে দিন ছোটো, রাত বড়ো হয়
  • (ঝ) খাসিয়া-দের সমাজে আজও মা পরিবারের প্রধান
  • (ঞ) একই পরিবারের শাখাপ্রশাখাকে একসঙ্গে আত্মীয় বলে
  • (ট) লোহা মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়
  • (ঠ) দুপুর বারোটায় ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোটো হয়

Leave a Comment