West Bengal Class 4 scholarship science question bank — চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

Our WhatsApp Group Join Now

এই পোষ্টে পাবেন “West Bengal Class 4 scholarship science question bank” — অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর সংকলন। সিলেবাসের বিবিধ অংশ থেকে নির্বাচন করা বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নসহ স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত উত্তর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতির একটি ব্যাপক রিসোর্স হিসেবে এটি নিয়মিত আপডেট করব। ছাত্রছাত্রীরা এখানে আস্তে আস্তে পড়ে পুনরাবৃত্তি করে সফলতা অর্জন করতে পারবে।

Class 4 scholarship science question bank
Class 4 scholarship science question bank

চলো শুরু করা যাক Class 4 scholarship science question bank

বিজ্ঞান বিভাগ (PART I)

শূন্যস্থান পূরণ করো: (যে-কোনো ছয়টি)

  • সমুদ্রের জল থেকে নুন তৈরি করা যায়।
  • পাতা-কে ‘উদ্ভিদের রান্নাঘর’ বলে।
  • পাহাড়ের চূড়ায় অক্সিজেন কম থাকে।
  • নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শরীর থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে যায়।
  • বাতাসে নাইট্রোজেন গ্যাস সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে।
  • পেরেক লোহা-র তৈরি একটি টুল।
  • সময় পরিমাপের একক হল সেকেন্ড

ভুল সংশোধন করো: (যে-কোনো পাঁচটি)

প্রশ্নসংশোধিত রূপ
ব্যাঙেদের খাবার হল লতাপাতা।ব্যাঙেদের খাবার হল পোকামাকড়।
যেসব প্রাণীকে খালি চোখে দেখা যায় না তাদের দূরবিন দিয়ে দেখা যায়।যেসব প্রাণীকে খালি চোখে দেখা যায় না তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়।
সাঁতার কাটার জন্য হাঁসের পায়ের আঙুলগুলি আলাদা থাকে।সাঁতার কাটার জন্য হাঁসের পায়ের আঙুলগুলি জোড়া থাকে।
শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে।
গির অরণ্য পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।গির অরণ্য গুজরাটে অবস্থিত।
সব কাজে একই পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়।বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়।

যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

খেলাধুলা করার প্রয়োজনীয়তা কী?

  • খেলাধুলা করলে দৈহিক গঠন ভালো হয়, রক্তসঞ্চালন ভালোভাবে হয়, দৈহিক সক্ষমতা বাড়ে
  • খেলাধুলা করলে শিশুদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা বাড়ে, তারা অনেক বেশি সামাজিক হয়ে ওঠে
  • শিশুরা খেলাধুলা করলে তাদের শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ্য থাকে

প্যাকেট করা তৈরি খাবার খেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে?

  • পেটের গোলমাল হওয়া
  • মোটা হয়ে যাওয়া
  • খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি

খাবার থেকে আমরা কীভাবে শক্তি পাই?
আমরা কোনো খাবার খেলে সেই খাবার খাদ্যনালির মধ্য দিয়ে পৌষ্টিকতন্ত্রে যায়। এরপর সেখানে প্রয়োজনীয় খাবারগুলি শোষিত হয় এবং সেই শোষিত খাবার শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে।

ফুসফুস বা শ্বাসনালির রোগ কেন হয়?
যে-কোনো ধরনের দূষিত ধোঁয়া বা ধুলো শ্বাসনালির মাধ্যমে শরীরের ভিতর বিশেষ করে ফুসফুসের মধ্যে ঢোকে। এই দূষিত ধোঁয়া বা ধুলো ফুসফুস বা শ্বাসনালির ক্ষতি করে। ফলে ফুসফুস বা শ্বাসনালির রোগ দেখা যায়।

মিশ্রণকে আলাদা করার তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ করো।

  • হাতে করে আলাদা করা (যেমন-কুলোয় চাল নিয়ে সেটি ঝেড়ে তা থেকে কাঁকরগুলি বেছে ফেলে দেওয়া যায়)
  • হাওয়ার সাহায্যে আলাদা করা (যেমন-ধান থেকে ধানের খোসা অর্থাৎ তুষকে ধান থেকে আলাদা করার জন্য তুষসুদ্ধ ধান হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলে হালকা তুষ হাওয়ায় ভেসে গিয়ে আলাদা হয়ে যায়)
  • ছাঁকনির দ্বারা আলাদা করা (যেমন-চা ছাঁকার সময় ছাঁকনির ফুটো দিয়ে চা বেরিয়ে যায় আর চায়ের পাতাগুলি ছাঁকনির উপর আটকে থাকে)

যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কেন?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান অংশে ৩/চ দ্রষ্টব্য।

কীভাবে আকাশে মেঘ তৈরি হয়?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান অংশে ৩/ছ দ্রষ্টব্য।

গাছেরা খাবার তৈরিতে পরিবেশ থেকে কী গ্যাস গ্রহণ করে এবং পরিবেশে কী গ্যাস বর্জন করে?
গাছেরা খাবার তৈরিতে পরিবেশ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে এবং পরিবেশে অক্সিজেন গ্যাস বর্জন করে।

সুষম আহারের মধ্যে যে চার ধরনের খাবার থাকে, তাদের প্রত্যেকের একটি করে উদাহরণ দাও।

  • দানাশস্যজাতীয় খাবার – ভাত
  • শাকসবজি ও ফলজাতীয় খাবার – পেয়ারা
  • তেল, ঘি, বাদামজাতীয় খাবার – ঘি
  • মাছ, মাংস, ডিমজাতীয় খাবার – মাছ

হাওয়া মিশ্র পদার্থ কেন?
হাওয়া অথবা বাতাসের মধ্যে বিভিন্ন গ্যাস যেমন-নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, নিষ্ক্রিয় গ্যাস, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি মিশে থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে মিশে থাকে জলীয় বাষ্প, ধুলিকণা ইত্যাদি। এই সমস্ত কারণের জন্যই হাওয়াকে মিশ্র পদার্থ বলে।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

আমরা কতরকমের পদার্থ দেখতে পাই? নাম উল্লেখ করে প্রত্যেকের একটি করে উদাহরণ দাও।
আমরা চার রকমের পদার্থ দেখতে পাই:

  • কঠিন পদার্থ – লোহা
  • তরল পদার্থ – জল
  • গ্যাসীয় পদার্থ – অক্সিজেন গ্যাস
  • মিশ্র পদার্থ – বাতাস

খাবার তাড়াহুড়ো করে খেলে বিষম লাগে কেন?
আমাদের গলায় পাশাপাশি দুটি নল থাকে। তার মধ্যে শ্বাসনালি দিয়ে বাতাস যায় আর খাদ্যনালি দিয়ে আমরা যা খাই, তা শরীরে প্রবেশ করে। খাবার তাড়াহুড়ো করে খেলে অনেকসময় খাবারের টুকরো খাদ্যনালিতে না ঢুকে খাদ্যনালির পাশে থাকা শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়। শ্বাসনালি তখন সেই খাবারের টুকরোকে বের করে দিতে চায়। এর ফলে সেই সময় বিষম লাগে।

শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকায়, কিন্তু বর্ষাকালে দেরি হয় কেন?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান অংশে ৪/গ দ্রষ্টব্য।


বিজ্ঞান বিভাগ (PART II)

শূন্যস্থান পূরণ করো: (যে-কোনো নয়টি)

  • জলদাপাড়া জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বইছে হলং নদী।
  • সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ
  • পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ
  • শনি গ্রহের সন্ধানে গেছে ক্যাসিনি
  • বিরুপুরে পোড়ামাটির মন্দির আছে।
  • তুলসী একটি ভেষজ উদ্ভিদ।
  • যন্ত্রপাতিকে ইংরেজিতে টুল বলে।
  • তামার সঙ্গে টিন মিশিয়ে ব্রোঞ্জ ধাতু তৈরি হয়।
  • ভোঁতা বড়ো পাথর ছিল মানুষের প্রথম হাতিয়ার
  • ছৌনাচে মুখোশ পরতেই হয়।

সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো:

প্রশ্নউত্তর
পিনটেল হল একধরনের (পাখি/পশু/উদ্ভিদ)পাখি
টোটো একপ্রকার (গাড়ি/উপজাতি/খাবার)উপজাতি
সূর্যের সবচেয়ে বড়ো গ্রহ (পৃথিবী/শনি/বৃহস্পতি)বৃহস্পতি
বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি আবিষ্কার করেন (অণুবীক্ষণ/দূরবিন/থার্মোমিটার)দূরবিন
চাঁদের বুকে প্রথম পা দেন (লাইকা/রাকেশ শর্মা/নীল আর্মস্ট্রং)নীল আর্মস্ট্রং

নীচের প্রশ্নগুলির অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও: (যে-কোনো দশটি)

যন্ত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
কঠিন কাজ সহজে করার জন্য মানুষ তার নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে কাঠ, লোহা ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে পারে। এগুলিকেই যন্ত্র বলে। যেমন-কোদাল, হাতুড়ি, ছুরি, সাঁড়াশি ইত্যাদি।

সারিগান কী?
নৌকা চালানো, ছাদপেটা, মাছধরা প্রভৃতি কাজের সঙ্গেঙ্গই গান আছে। এই গানগুলিকে সারিগান বলে।

ছায়া কখন সবচেয়ে ছোটো হয়? কেন হয়?
দুপুর বারোটার সময় ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোটো হয়। কারণ এই সময় সূর্য ঠিক আমাদের মাথার উপর থাকে।

মালাহার ও মালাকার কারা?
যে সমস্ত শিল্পীরা পিতল-ঢালাই-এর কাজ করেন, তাদের মালাহার বলে। যারা শোলার কাজ করেন, তাদের মালাকার বলে।

কুটির শিল্প কাকে বলে?
বাড়ির মধ্যে বসে অল্প জায়গায় কোনো জিনিস উৎপাদন করা হলে, তাকে কুটির শিল্প বলে। পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় এই শিল্প গড়ে ওঠে। যেমন-তাঁত শিল্প, মাটির জিনিস তৈরি, আচার তৈরি ইত্যাদি।

লাঠি কী কী কাজে লাগে?

  • লাঠির মাধ্যমে মই তৈরি করে তা উপরে ওঠার কাজে ব্যবহার করা হয়
  • কুয়ো থেকে জল তোলার কাজে লাঠি ব্যবহার করা হয়
  • লাঠির সাহায্যে গাছ থেকে ফল পাড়া হয়
  • লাঠি দিয়ে নৌকার দাঁড় তৈরি করে নৌকা চালানো হয়
  • ভারী জিনিস তোলার কাজে লাঠি ব্যবহার করা হয়

পাহাড়ি অঞ্চলে কী কী চাষ ভালো হয়?
পাহাড়ি অঞ্চলে চা, স্কোয়াশ, কমলালেবু, নাসপাতি, ফুল, বোরো ধান ইত্যাদির চাষ ভালো হয়।

আত্মীয় মানে কী?
‘আত্মীয়’ শব্দটির অর্থ হল যার বা যাদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক আছে। একই পরিবারের শাখাপ্রশাখাকে একসঙ্গে আত্মীয় বলা হয়।

সংস্কৃতি বলতে কী বোঝো?
কোনো একটি সমাজে বসবাসকারী মানুষের খাবার, নাচ, গান, উৎসব শিল্পকলা নিয়েই গড়ে ওঠে ওই সমাজের সংস্কৃতি। কোনো সমাজকে তার সংস্কৃতি দিয়েই চেনা যায়।

সমাজের আদি গানকে কী বলা হয়?
সমাজের আদি গান হল পল্লিগান। এটি গ্রামের মানুষেরা গেয়ে থাকে। বাউল গানকেও আদি গান বলা হয়ে থাকে।

ভারতের কোথায় মায়েরা এখনও পরিবারের প্রধান?
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়াদের সমাজে মায়েরা এখনও পরিবারের প্রধান। পরিবারের সম্পত্তির উপর সমস্ত অধিকার মেয়েদের হাতেই থাকে।

টীকা লেখো: (যে-কোনো চারটি)

গম্ভীরা
গম্ভীরা একটি জনপ্রিয় লোকসংগীত। মালদা জেলায় এই লোকসংগীত-এর বেশ প্রচলন আছে। পালা করে এই গম্ভীরা গান গাওয়া হয়। গম্ভীরা পালাতে লোকেরা নেচেও থাকে। গান-বাজনা-নাচ সব মিলিয়েই পুরো পরিবেশটা তৈরি হয়।

ক্ষুদ্রশিল্প
কোনো কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে কারখানা ছোটো হয়। যন্ত্রপাতি এবং লোকজনও কম লাগে। এই ধরনের শিল্পগুলি হল ছোটোশিল্প বা ক্ষুদ্রশিল্প। যেমন-তাঁত শিল্প।

হিমঘর
ফ্রিজের মতো ঠান্ডা বড়ো গুদাম ঘর, যেখানে বিভিন্ন শাকসবজি জমা করে রাখা হয় তাকে হিমঘর বলে। হিমঘরে সবজি রাখলে তা অনেকদিন ভালো থাকে।

নকশি কাঁথা
গ্রামবাংলার মেয়েরা সামান্য শাড়ি ও ছেঁড়া কাপড় দিয়ে তৈরি কাঁথার উপর নানা ধরনের নকশা আঁকেন। এই নকশা করা কাঁথাকে বলা হয় নকশি কাঁথা। নকশি কাঁথার গায়ে গল্পকথা, বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়া প্রভৃতি ছুঁচ-সুতো দিয়ে নকশা করে ফুটিয়ে তোলা হয়।

লোকগান
সাধারণ পল্লিসমাজের শ্রমজীবী মানুষের মুখে মুখে সহজসরলভাবে আঞ্চলিক ভাষায় প্রচারিত মিশ্রিত গানকে লোকগান বলে। সাধারণ মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনাকে সুরের ছন্দে গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

সেবামদিকের শব্দগুলির সঙ্গে ডানদিকের শব্দগুলি মিলিয়ে দাও:

বামদিকডানদিকউত্তর
মনোহরা১. শাক(ক) → (৩)
বেথুয়া২. উৎসব(খ) → (১)
টুসু৩. মিষ্টি(গ) → (২)
ট্যাক্টর৪. পুরুলিয়া(ঘ) → (৫)
ছৌনাচ৫. চাষের যন্ত্র(ঙ) → (৪)

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দশটি)

গাছের উপকারিতা লেখো।
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান অংশে ৪/ক দ্রষ্টব্য।

জল কীভাবে নষ্ট হয়?
বিভিন্নভাবে জল নষ্ট হতে পারে:

  • কারখানার দুষিত জল নদীতে, পুকুরে ইত্যাদি জায়গায় পড়লে সেখানকার জল নষ্ট হয়ে যায়
  • কৃষিজমিতে দেওয়া বিষাক্ত কীটনাশক ও কৃত্রিম রাসায়নিক সার নদী, পুকুর ইত্যাদিতে পড়লে সেখানকার জল নষ্ট হয়
  • পুকুর, নদী, জলাশয় ইত্যাদি জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন, প্লাস্টিক ফেলা, গৃহস্থালির বর্জ্য ফেলা, জীবজন্তুর মৃতদেহ ফেলা ইত্যাদি করা হলেও জল নষ্ট হতে পারে
  • কুয়ো, নলকূপ ইত্যাদি থেকে অতিরিক্ত জল তোলা হলে মাটির নীচের জল শেষ হয় এবং নষ্ট হতে পারে

অমাবস্যা ও পূর্ণিমা আসলে কী?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান অংশে ৪/ঘ দ্রষ্টব্য।

আবহাওয়া কোন্ কোন্ বিষয়ের উপর নির্ভরশীল?
আবহাওয়া বাতাসের মধ্যে থাকা জলীয় বাষ্প, কুয়াশা, ধূলিকণা ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। আবার সূর্যের তাপ, বৃষ্টিপাত, মেঘ ইত্যাদির উপরও আবহাওয়া নির্ভর করে।

সপ্তর্ষিমণ্ডল কী?
রাতের আকাশে উত্তর-পূর্ব দিকে সাতটি তারা একত্রিত হয়ে প্রশ্নচিহ্নের মতো সাজানো থাকে, একে সপ্তর্ষিমণ্ডল বলে। সপ্তর্ষিমণ্ডলের সাতটি তারার নাম হল-কুতু, পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা, বশিষ্ঠ আর মরীচি।

দিন-রাত হওয়ার কারণ কী?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান অংশে ৬/ক দ্রষ্টব্য।

সমাজ কীভাবে গড়ে উঠল?
২০১৭ সালের বৃত্তি পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান অংশে ৫/ক-এর ‘সমাজ কীভাবে তৈরি হল’ দ্রষ্টব্য।

আদিম মানুষ প্রথম কোথায় আগুন দেখেছিল?
আদিম মানুষ প্রথম জঙ্গলে শুকনো গাছের ডালে ডালে ঘষাঘষি বা ঠোকাঠুকি লেগে আগুন জ্বলে উঠতে দেখেছিল।

‘বিপন্ন বাসভূমি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
চারিদিকে অনেক গাছপালা কাটা হচ্ছে, পুকুর বা জলাভূমি ইত্যাদি বুজিয়ে শহর গড়ে উঠছে। এর ফলে পশুপাখি, সাপ, মাছ, ব্যাঙ প্রভৃতিদের বাসস্থান হারিয়ে যাচ্ছে বা বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। যেমন-সুন্দরবনের জঙ্গল সাফ করে ফেলায় বাঘেদের বাসস্থান হারিয়ে যাচ্ছে, তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এইভাবে হারিয়ে যাওয়া বাসভূমিকে বলা হয় বিপন্ন বাসভূমি।

পশুপালনের সুবিধা কী?
২০১৮ সালের বৃত্তি পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান অংশে ৩/ঘ দ্রষ্টব্য।

রবারের চাকা তৈরিতে মানুষের কী সুবিধা হল?

  • রবারের চাকা তৈরি হওয়ায় যানবাহন খুব তাড়াতাড়ি চলতে শুরু করল
  • চাকায় হাওয়া ভরা থাকায় হালকা হল এবং ঝাঁকুনিও কমল
  • চাকা বেশিদিন টেকসই হল

নীচের প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দাও: (যে-কোনো তিনটি)

চাকা আবিষ্কারের কথা লেখো।
চাকা আবিষ্কার মানুষের জীবনের অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে। মানুষ একদিনে হঠাৎ করে চাকা তৈরি করতে পারেনি। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই চাকা তৈরি করেছে। মানুষ দেখেছিল কোনো কিছু টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া ছিল কঠিন। এই অসুবিধা কিভাবে দূর হবে সে কথা ভেবেছিল মানুষ। তারা দেখেছিল পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ে। এই দেখেই তাদের মাথায় চাকার ভাবনা এসেছিল। মানুষ প্রথমে কাঠ দিয়েই চাকা বানাত। গাছের গুঁড়ি গোল করে কেটে চাকা তৈরি করত। তারপর পাথরের চাকাও তৈরি করল। একসময় মানুষ ধাতুর ব্যবহার শিখেছিল। কাঠের চাকা ভেঙে ও পচে যেত বলে, চাকাকে শক্তপোক্ত করতে তাতে লোহার বেড় দিয়েছিল। এরপর শুরু হল রবারের চাকা তৈরি। এতে হাওয়া ভরা হল। ফলে চাকা হালকা হল এবং ঝাঁকুনিও কমল। গাড়ি তাড়াতাড়ি চলতে শুরু করল।

নদীর ধারে বড়ো বড়ো জনবসতি গড়ে ওঠার কারণ কী?
নদীর ধারে বড়ো বড়ো জনবসতি গড়ে ওঠার কারণগুলি হল:

  • নদীর ধারে জনবসতি গড়ে ওঠার একটি প্রধান কারণ হল সহজে পানীয় জল পাওয়া যায়
  • রান্না করা, স্নান করা, কাপড় কাচা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় জল নদী থেকে পাওয়া যায়
  • নদীর কাছাকাছি জনবসতি গড়ে তোলার আর একটি কারণ হল নদী থেকে মাছ ধরা যায়
  • নদীপথে নৌকা, ভেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই যাতায়াত করা যায় ও জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়
  • নদীর ধারে জনবসতি গড়ে উঠলে খাবার জোগানেরও অসুবিধা হয় না। কারণ চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত জল নদী থেকেই পাওয়া যায়

কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে আমরা কী কী সুবিধা পাচ্ছি?
কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে আমরা:

  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাই
  • মোবাইলে কথা বলতে সাহায্য করে
  • বিদেশে হওয়া খেলার সরাসরি সম্প্রসারণ এবং রেডিয়োতে খবরের ধারাভাষ্য শোনা প্রভৃতি কৃত্রিম উপগ্রহগুলির জন্যই সম্ভব হয়

তাঁত শিল্প, রেশম শিল্প, মৃৎ শিল্প, গালা শিল্প পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কোথায় দেখা যায়?
পশ্চিমবঙ্গে:

  • তাঁতশিল্প হুগলির শ্রীরামপুর, ধনেখালি, নদিয়ার নবদ্বীপ ও ফুলিয়ায় দেখা যায়
  • রেশম শিল্প দেখা যায়, মালদা জেলার সুজাপুর ও কালিয়াচকে এবং মুরশিদাবাদের বহরমপুরে
  • মৃৎ শিল্প দেখা যায় কলকাতার কুমোরটুলি ও নদিয়ার কৃষ্ণনগর-এ
  • গালা শিল্প পুরুলিয়ার ঝালদা, বাঁকুড়ার সোনামুখি ও বীরভূম জেলার ইসলামবাজারে দেখা যায়
এই পেজের প্রথম পর্বটি পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করো 
👇👇👇👇👇

West Bengal Class 4 science scholarship past question and answers — চতুর্থ শ্রেণীর বৃত্তি বিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তর সংগ্রহ

Leave a Comment